পাকিস্তানের কোচের পদ ছাড়ছেন গ্যারি কারস্টেন
ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ জিতে হারের বৃত্ত ভেঙে জয়ের ধারায় ফিরেছে পাকিস্তান। এবার তাদের সামনে অস্ট্রেলিয়া পরীক্ষা। অজিদের বিপক্ষে সিরিজ খেলতে এরই মধ্যে দেশ ছেড়েছে পাকিস্তান দল। তবে সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগে বড় এক ধাক্কাই খেল পাকিস্তান দল। ওয়ানডে সিরিজ শুরু হতে মাত্র সাত দিন বাকি। এর আগে পদত্যাগ করছেন দলটির সাদা বলের প্রধান কোচ গ্যারি কারস্টেন।
দায়িত্ব নেয়ার ৬ মাসও হয়নি, পাকিস্তানের সাদা বলের কোচ হিসেবে গত এপ্রিলে নিয়োগ পেয়েছিলেন গ্যারি কারস্টেন। এবার চাকরি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি। শিগগিরই পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) এ বিষয়ে বিবৃতি দিবে বলে জানিয়েছে জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক সাইট ক্রিকইনফো।
দুই বছরের জন্য দায়িত্ব পেয়েছিলেন কারস্টেন। তার সঙ্গে সঙ্গে টেস্ট দলের দায়িত্ব নেন সাবেক অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেটার জেসন গিলেস্পি। তাদের সঙ্গে পিসিবির সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না। বোর্ড কোচদের অনেক ক্ষমতা কেড়ে নিয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। গিলেস্পি যেমন দাবি করেছেন, পাকিস্তানে এখন ম্যাচডে বিশ্লেষকের মতো ভূমিকা তার।
খেলোয়াড় বাছাইয়েও কোচদের পছন্দ অপছন্দ গুরুত্ব দেয়া হয় না বলে গুঞ্জন। এসব কারণেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত সাবেক প্রোটিয়া ক্রিকেটারের। ২০১১ সালে তিনি ভারতকে ওয়ানডে বিশ্বকাপের শিরোপা জিতিয়েছিলেন। আইপিএলে গুজরাট টাইটান্সের ব্যাটিং কোচ হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন।
কারস্টেন চাকরি ছাড়ায় অস্ট্রেলিয়া ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আসন্ন সিরিজ দুটিতে কে কোচের কাজ করবেন, তা এখনও জানা যায়নি। অথচ সিরিজের বাকি আর মাত্র ৭ দিন। মেলবোর্নে ৪ নভেম্বর হবে প্রথম ওয়ানডে। অ্যাডিলেড ও পার্থে পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ৮ ও ১০ নভেম্বর।
গাব্বায় তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজ শুরু হবে ১৪ নভেম্বর। পরের দুটি ম্যাচ যথাক্রমে ১৬ ও ১৮ নভেম্বর। যেগুলোর ভেন্যু যথাক্রমে ব্রিসবেন, সিডনি ও হোবার্ট।
২০১৯ সাল থেকেই পাকিস্তানের কোচিংস্টাফ পদগুলোতে কোনো দৃঢ়তা নেই। এ সময়ে ৭-৮ বার কোচ বদল করেছে তারা। ভারত বিশ্বকাপের পর ২০২৩ সাল থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব সামলান মোহাম্মদ হাফিজ, এরপর অন্তর্বর্তী কোচ হিসেবে চাকরি পান আজহার মাহমুদ। স্থায়ী কোচ হিসেবে কারস্টেন দায়িত্ব নেন।
যুক্তরাষ্ট্রে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ছিল কারস্টেনের প্রথম বড় কোনো অ্যাসাইনমেন্ট। যেখানে অপ্রত্যাশিতভাবে গ্রুপপর্ব থেকে বিদায় নিতে হয় তাদের, হারতে হয় যুক্তরাষ্ট্রের মতো আনকোড়া দলের সঙ্গেও। তাতে চারদিক থেকেই সমালোচনা জুটেছিল বাবর আজমদের।
(ঢাকাটাইমস/২8 অক্টোবর/এনবিডব্লিউ)
মন্তব্য করুন