চট্টগ্রাম টেস্ট: উইকেটের খোঁজে বাংলাদেশ

দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথম টেস্টে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরে ব্যাকফুটেই রয়েছে বাংলাদেশ। আর তাই সিরিজ বাঁচাতে দ্বিতীয় টেস্টে জয়ের বিকল্প নেই টাইগারদের। তবে দ্বিতীয় টেস্টে খেলতে নেমেই খেই হারিয়ে ফেলেছে স্বাগতিকরা। প্রোটিয়া ব্যাটারদের সামনে অসহায় বাংলাদেশের বোলাররা।
চট্টগ্রামের ব্যাটিং-বান্ধব পিচের ভালোই সুবিধা নিচ্ছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের একমাত্র সাফল্য এইডেন মার্করামের উইকেট। এইডেন মার্করাম ৩৩ রান করে ফিরে গেলেও অর্ধশতক তুলে নিয়ে অপরাজিত আছেন টনি ডি জর্জি। ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের দিকে নিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আর বাংলাদেশ রয়েছে উইকেটের খোঁজে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার সংগ্রহ ৪৩ ওভার শেষে ১৫২ রান।
আজ মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামে দক্ষিণ আফ্রিকা। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে আজ ওপেনিংয়ে নামেন এইডেন মার্করাম ও টনি ডি জর্জি। শুরু থেকেই দেখেশুনেই খেলতে থাকেন তারা। তবে দলীয় ২৫ রানে এই জুটি ভাঙার সুযোগ পায় বাংলাদেশ।
হাসানের বলে দে জর্জি ব্যাটের বাইরের কানায় লেগে বল গিয়েছিল অভিষিক্ত উইকেটকিপার মাহিদুল ইসলামের পাশ দিয়ে। ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়লেও ক্যাচটি নিতে পারেননি মাহিদুল। যার ফলে জীবন পান টনি ডি জর্জি। জীবন পেয়ে এইডেন মার্করামকে নিয়ে দেখেশুনেই খেলতে থাকেন টনি ডি জর্জি।
ক্রমেই ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠছিল এই জুটি। অবশেষে এই জুটিকে থামালেন স্পিনার তাইজুল ইসলাম। তাইজুলের বলে মুমিনুলের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে সাজঘরে ফিরে যান এইডেন মার্করাম। আউট হওয়ার আগে করেন ৫৫ বলে ৩৩ রান। তার বিদায়ে ৬৯ রানে ওপেনিং জুটি ভাঙে প্রোটিয়াদের।
এইডেন মার্করামের বিদায়ের পর ট্রিস্টান স্টাবসকে জুটি গড়েন টনি ডি জর্জি। এই জুটিতে ভর করে ২৫ ওভার ৩ বলে দলীয় শতক পূর্ণ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এই জুটির কল্যাণে ২৮ ওভারে ১০৯ রান করে লাঞ্চ বিরতিতে যায় দক্ষিণ আফ্রিকা।
বাঁচা-মরার এই ম্যাচে বাংলাদেশ দলে আছে পরিবর্তন। বাদ পড়েছেন নিয়মিত উইকেটরক্ষক লিটন দাস। জ্বরের কারণেই অবশ্য চট্টগ্রাম টেস্টে মাঠে নামা হচ্ছে না তার। সে জায়গায় অভিষেক হচ্ছে উইকেটরক্ষক ব্যাটার মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের। এই টেস্টে দুই পেসার নিয়ে মাঠে নেমেছে বাংলাদেশ। হাসান মাহমুদের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন নাহিদ রানা।
সবমিলিয়ে চট্টগ্রাম টেস্টে বাংলাদেশ দলে আছে তিন পরিবর্তন। জাকের আলী অনিক, লিটন কুমার দাস এবং নাইম হাসান বাদ পড়েছেন। তাদের পরিবর্তে একাদশে জায়গা করে নিয়েছেন মাহিদুল ইসলাম, জাকির হাসান এবং নাহিদ রানা। আর দক্ষিণ আফ্রিকা দলে এসেছে দুই পরিবর্তন। সেনুরান মাথুসামি এবং ডেইন পিটারসন জায়গা করে নিয়েছেন একাদশে।
বাংলাদেশ একাদশ: নাজমুল হোসেন শান্ত (অধিনায়ক), জাকির হাসান, মাহমুদুল হাসান জয়, সাদমান ইসলাম, মুমিনুল হক, মুশফিকুর রহিম, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন, নাহিদ রানা ও হাসান মাহমুদ।
দক্ষিণ আফ্রিকা একাদশ: এইডেন মার্করাম (অধিনায়ক), টনি ডি জর্জি, ট্রিস্টান স্টাবস, ডেভিড বেডিংহাম, রায়ান রিকেলটন, কাইল ভেরেইনা, সেনুরান মাথুসামি, উইয়ান মুল্ডার, কেশব মহারাজ, ডেইন পিটারসন, কাগিজো রাবাদা।
(ঢাকাটাইমস/২৯ অক্টোবর/এনবিডব্লিউ)

মন্তব্য করুন