লক্ষ্মীপুরের দুর্গম চরে মহিষের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ কৃষকরা
লক্ষ্মীপুরের দুর্গম চরে ফসল চাষ করে বিপাকে শতাধিক কৃষক। মহিষের যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ হয়ে ক্ষতির আশঙ্কা তাদের। রাত হলেই ফসলি জমিতে হানা দেয় শত শত মহিষ। এতে ধান, সয়াবিনসহ বিভিন্ন ফসল নষ্ট ও খেয়ে সাবাড় করে ফেলছে তারা। রাতভর পাহারা দিয়েও কূল পাচ্ছেন না কৃষকরা। মহিষ মালিকদের বারবার জানানো হলেও কোনো প্রতিকার মিলছে না।
জানা যায়, লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চর রমনী মোহন ইউনিয়নের চর মেঘা ও নিউ চর মেঘায় শতাধিক কৃষক ধান-সয়াবিনসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করেন। অন্যদিকে কিছু প্রভাবশালী সে সব চরে মহিষ পালন করেন। মহিষগুলো তারা চরে ছেড়ে রাখেন। এতে মহিষের পাল গিয়ে ফসলি জমির ফসল খেয়ে ফেলে ও নষ্ট করে। কৃষকরা সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রমের পর মহিষ থেকে ফসল রক্ষার জন্য রাত জেগে পাহারাও দেন।
কৃষকদের অভিযোগ, চর মেঘায় প্রভাব খাটিয়ে মহিষ পালন করেন রব মোল্লা, জাহাঙ্গীর মোল্লা, হারিছ সর্দার, বারেক সর্দার, শাহ সর্দার, শহীদ উল্লাহ ব্যাপারী, মাকছুদ হাওলাদার, কাশেম গোয়াল, জব্বর মালসহ বেশ কয়েক ব্যক্তি। তারা মহিষ নির্দিষ্ট স্থানে না রেখে চর জুড়ে ছেড়ে দেয়। এতে মহিষগুলো ফসলি জমিতে বিচরণ করে ফসল নষ্ট করে এবং খেয়ে ফেলে। বারবার মহিষ মালিকদের বিষয়টি জানানো হলেও তারা কর্ণপাত করছে না। এতে কৃষকরা প্রতিদিনই ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন।
কৃষক মহসিন করাতি বলেন, মহিষের অত্যাচারে অতিষ্ঠ আমরা। কয়েকবার মহিষ আটক করলেও পরবর্তীতে বিভিন্ন কারণে ছেড়ে দিতে হয়েছে। তারপরও মহিষ মালিকরা এর সমাধান করছেন না। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে।
কৃষক আনোয়ার হোসেন বলেন, এ দুর্গম চরে ফসল চাষ করতে অনেক কষ্ট। সারাদিন হাড়ভাঙা পরিশ্রম করে আবার রাতে মহিষের কারণে পাহারা দিতে হয়। তারপরও সামাল দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমরা এর প্রতিকার চাই।
অভিযোগের বিষয়ে মহিষ মালিক রব মোল্লা বলেন, আমরা কয়েকজন চরে মহিষ পালন করি। আমাদের খামার রয়েছে, লোক রয়েছে। কিন্তু রাতে মহিষ ছুটে যায়। আমরা চেষ্টা করি তাদের আটকানোর। তারপরও কৃষকদের ক্ষতি করছে। এখন তারা আমাদের কিছু মহিষ আটক করে রেখেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর থানার উপ-পরিদর্শক কামাল হোসেন বলেন, কৃষকদের ফসল ক্ষতিগ্রস্তের একটি অভিযোগ পেয়েছি। সেটি আমরা তদন্ত করছি।
(ঢাকাটাইমস/০৬নভেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন