বিএনপির নির্ভয় শোভাযাত্রায় লাখো জনতা
মহান বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে রাজধানীতে স্মরণকালের সবচেয়ে বড় শোভাযাত্রা করেছে বিএনপি। দিবসটি পালনে ঢাকার সড়কে ঢল নেমেছে জনতার। কয়েক লাখ নেতাকর্মীর অংশগ্রহণে বর্ণাঢ্য এই শোভাযাত্রাকে কেন্দ্র করে পুরো রাজধানীই স্তব্ধ হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর এটিই বিএনপির সবচেয়ে বড় লোকসমাগম কর্মসূচি।
শুক্রবার নয়াপল্টন থেকে বিকাল পৌনে চারটায় শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত পৌনে আটটা) চলমান ছিল।
আওয়ামী লীগের আমলে গত ১৫ বছরে কখনো এত বড় শোভাযাত্রা করতে পারেনি বিএনপি। সরকারের তরফ থেকে সেসময়ের কর্মসূচিগুলো নির্দিষ্ট জায়গায় সীমাবদ্ধ করে দেওয়া হতো।
বিপ্লব ও সংহতি দিবসের শোভাযাত্রা উপলক্ষে সকাল ১১টার দিকেই ঢাকা ও আশপাশের জেলা থেকে বিপুল নেতাকর্মী মিছিলে নিয়ে দলীয় কার্যালয়ের সামনে আসতে থাকেন। দুপুর নাগাদ নয়াপল্টন এলাকা লোকারণ্য হয়ে যায়। বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে নয়াপল্টন দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এসময় সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন তারা।
সরেজমিনে দেখা যায়, সমাবেশের সময় নেতাকর্মীদের সমাগম যাত্রাবাড়ী চৌরাস্তা, ধলপুর, নয়াবাজার, মগবাজার, কমলাপুর পর্যন্ত বিস্তৃতি ঘটে। র্যালিতে রাজধানী ঢাকাসহ আশপাশের জেলার বিএনপি ও অঙ্গসহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
এতে বড় ধরনের শোডাউন দেন ঢাকা জেলা বিএনপি নেতারা। বিশেষ করে ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক, ধামরাইয়ের সালাউদ্দিন বাবু, কেরানীগঞ্জ থেকে আমান উল্লাহ আমানের ছেলে ব্যারিস্টার আমান অমি, মিরপুর-পল্লবী থেকে আমিনুল হক, যাত্রাবাড়ী থেকে থেকে নবী উল্লাহ নবী, কল্যাণপুর-গাবতলী থেকে সাজু, উত্তরা থেকে মোস্তফা জামান, ঢাকা- ১২ আসনের সাইফুল আলম নীরব, শ্যামপুর-কদমতলী থেকে আ ন ম সাইফুল ইসলাম এবং মানিকগঞ্জ থেকে আফরোজা খান রিতার নেতৃত্বে ব্যাপক শোডাউন করেন নেতাকর্মীরা।
যুবদল ও ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট এবং কলেজ কমিটির বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী এ র্যালিতে অংশ নেন। ঢাকা জেলা যুবদলের ব্যানারে অন্তত ২০ হাজার নেতাকর্মী এতে অংশ নেন। ঢাকার আশপাশের জেলার মনোনয়ন প্রত্যাশীরাও নিজেদের অবস্থান জানান দিতে ব্যাপক শোডাউন করেন।
বিএনপির স্মরণকালের এই বড় শোডাউনে পিছিয়ে নেই দলটির কোনো অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠন। স্বেচ্ছাসেবক দল, শ্রমিকদল, মহিলা দল, জাসাস, মুক্তিযোদ্ধা দল, তাতীদল, মৎস্যজীবী দল, পেশাজীবী সংগঠন, জিয়া মঞ্চ, ড্যাব, এ্যাব, প্রচার দলসহ সব সংগঠনই বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী নিয়ে এ র্যালিতে অংশগ্রহণ করেন।
রঙ-বেরঙের ব্যানারের পাশাপাশি জিয়াউর রহমান, খালেদা জিয়া ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বড় আকারের ছবি দেখা গেছে নেতাকর্মীদের হাতে। শোভা পাচ্ছিল দলীয় ও জাতীয় পতাকা। কারও কারও মাথায় লাল সবুজের ক্যাপও দেখা গেছে।
র্যালিতে বিএনপির সিনিয়র নেতারাও নেতাকর্মীদের সঙ্গে পায়ে হেঁটে নয়াপল্টন থেকে মানিক মিয়া এভিনিউতে আসেন। এসময় উৎসুক হাজারও জনতা র্যালিতে অংশগ্রহণকারীদের হাত নেড়ে অভিনন্দন জানান।
ঢাকাটাইমস/০৮নভেম্বর/জেবি/ইএস
মন্তব্য করুন