জবি শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণের প্রতিশ্রুতি উপদেষ্টা নাহিদের
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীদের পাঁচ দফা দাবি আগামী তিন দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস দিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি উপদেষ্টা মো. নাহিদ ইসলাম।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের সকল দাবিই যৌক্তিক। এর সাথে আমি একমত।’
সোমবার বিকাল সাড়ে তিনটায় সচিবালয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের এই প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অনেক কষ্টে থাকে। তাদের হল নেই। শিক্ষার্থীদের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক। শিক্ষার্থীদের দাবির সাথে আমি পুরোপুরি একমত। আমরা তিন দিনের মধ্যে হল করে দিতে পারব না। কিন্তু আর্মির কাছে হস্তান্তর করতে পারি। এর জন্য আমাদের বসতে হবে। আমরা তিন দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস সেনাবাহিনীর নিকট হস্তান্তর করব এবং যেভাবে দেওয়া যায় সেই কাজ করব।
উপদেষ্টার আশ্বাসের জবাবে শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা তিন কর্মদিবস সময় দিচ্ছি। আর সেই সাথে হিট প্রজেক্টের ব্যাপারে আজকেই সিদ্ধান্ত চাই। আমাদের সামনে শিক্ষা উপদেষ্টাকে এসে আজই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাতে হবে।
এসময় শিক্ষাসচিব শিক্ষার্থীদের সঙ্গে দেখা না করতে চাওয়ার প্রসঙ্গে নাহিদ বলেন, সচিব ও সংশ্লিষ্টরা যারা শিক্ষার্থীদের অপমান করে ফিরিয়ে দিয়েছে এর জন্য সে ও সংশ্লিষ্টরা ক্ষমা চাইবে।
এর আগে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীকে হস্তান্তর, ইউজিসির পাইলট প্রকল্পে অন্তর্ভুক্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে দুপুরে শিক্ষা ভবন অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। কয়েক হাজার শিক্ষার্থী সেখানে উপস্থিত হন। পরে ১২ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল দাবির স্মারকলিপি নিয়ে শিক্ষাসচিবের সঙ্গে দেখা করতে সচিবালয়ে ঢোকেন। তবে শিক্ষাসচিব দেখা না করায় সচিবালয় ঘেরাও করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে সচিবালয়ের সামনে উপস্থিত হন উপদেষ্টা নাহিদ।
শিক্ষার্থীদের ৫ দফা দাবি-
১. স্বৈরাচার আমলে নিয়োগপ্রাপ্ত প্রজেক্ট ডিরেক্টরকে আইনের আওতায় আনতে হবে এবং সাত দিনের মধ্যে সেনাবাহিনীর দক্ষ কর্মকর্তাদের হাতে এই দায়িত্ব দিতে হবে; ২. শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণা করতে হবে যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ সেনাবাহিনীর কাছে হস্তান্তরিত হয়েছে; ৩. অবিলম্বে বাকি ১১ একর জমি অধিগ্রহণের ব্যবস্থা নিতে হবে এবং পুরোনো ক্যাম্পাস নিয়ে স্বৈরাচার সরকারের আমলের সব চুক্তি বাতিল করতে হবে; ৪. সম্প্রতি ইউজিসির ঘোষণা করা পাইলট প্রকল্পে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়কে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে; ৫. বিশ্ববিদ্যালয়ের বাৎসরিক বাজেট সর্বনিম্ন ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করতে হবে।
আরও পড়ুন>শিক্ষা ভবন অবরোধ জবি শিক্ষার্থীদের
(ঢাকাটাইমস/১১নভেম্বর/ইএস)
মন্তব্য করুন