‘ইত্যাদি’ মোংলা বন্দর পর্বের পুনঃপ্রচার শুক্রবার
দেশের বিভিন্ন স্থানে গিয়ে ‘ইত্যাদি’ ধারণের ধারাবাহিকতায় এবারের পর্ব ধারণ করা হয়েছিল খানজাহানের অসংখ্য কীর্তিশোভিত, সুন্দরবনের প্রবেশদ্বার হিসাবে খ্যাত পুরাকীর্তি সমৃদ্ধ নগরী বাগেরহাটে। মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছিল দেশের দ্বিতীয় আন্তর্জাতিক সমুদ্র বন্দর মোংলা বন্দরে।
বহুল প্রশংসিত এই পর্বটির পুনঃপ্রচার করা হবে শুক্রবার রাত ৮টার বাংলা সংবাদের পর।
এবারের অনুষ্ঠানের শুরুতেই ছিল বাগেরহাটকে নিয়ে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায় একটি পরিচিতিমূলক গানের সঙ্গে স্থানীয় শতাধিক শিল্পীর নৃত্য। গানটির সুর করেছেন ‘ইত্যাদি’র উপস্থাপক হানিফ সংকেত এবং সংগীত আয়োজন করেছেন মেহেদী।
এবারের সংগীত পরিবেশন করেছেন বাগেরহাটেরই সন্তান জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী নাসির এবং প্রতিশ্রুতিশীল শিল্পী সানজিদা রিমি। কথা লিখেছেন কবির বকুল। সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন কিশোর দাস।
দর্শকপর্বের নিয়ম অনুযায়ী, ধারণস্থান বাগেরহাটকে ঘিরে প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে উপস্থিত দর্শকের মাঝখান থেকে তিনজন দর্শক নির্বাচন করা হয়। দ্বিতীয় পর্বে নির্বাচিত দর্শকদের সঙ্গে অংশগ্রহণ করেন বাগেরহাটের জনপ্রিয় লোক বাদ্যযন্ত্র শিল্পী নিখিল কৃষ্ণ মজুমদার ও তার বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
‘ইত্যাদি’র এবারের পর্বে রয়েছে কয়েকটি হৃদয় ছোঁয়া প্রতিবেদন। রয়েছে বাগেরহাটের উপর একটি তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদন। সুন্দরবন, মোংলা সমুদ্র বন্দরসহ বাগেরহাটের বিভিন্ন দর্শনীয়, আকর্ষণীয় পর্যটন কেন্দ্র ও প্রত্নসম্পদ এবং হজরত খানজাহানের অসংখ্য কীর্তি ও স্থাপনার উপর প্রতিবেদন।
এসব প্রতিবেদনের জন্য ‘ইত্যাদি’র টিম মোংলা থেকে নদীপথে হিরণপয়েন্ট পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে যান। বাগেরহাটের একদল নারী তাদের ব্যতিক্রমী চিন্তা আর কর্মসৃজনে ফেলনার সামগ্রী কাজে লাগিয়ে নানা উপকরণ তৈরি করার পাশাপাশি এখন তৈরি করছেন বিদেশে রপ্তানিযোগ্য মানুষের বসবাসের জন্য বাড়ি। তাদের উপর রয়েছে একটি প্রতিবেদন।
তারিখ ও সময় সংক্রান্ত একটি অবাক করা ব্যতিক্রমধর্মী মনস্তাত্ত্বিক জাদু প্রদর্শন করেন জাদুকর ম্যাজিক রাজিক। চিঠিপত্র বিভাগে বাগেরহাটের এক ব্যতিক্রমী নারী উদ্যোক্তার জীবন সংগ্রামের চিত্র তুলে ধরা হয়। বিদেশি প্রতিবেদন পর্বে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা রাজ্যের উত্তরে অবস্থিত গ্র্যান্ড ক্যানিয়নের উপর একটি তথ্যবহুল প্রতিবেদন।
বাগেরহাটের ঢাংমারী গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই জীবিকার প্রধান উৎস সুন্দরবন। তবে মাঝে মাঝে বন সুরক্ষায় বনবিভাগ প্রদত্ত নিষিদ্ধ সময়েও কেউ কেউ সুন্দরবনে প্রবেশ করে বিপদের সম্মুখীন হন, কেউ কেউ মৃত্যুবরণও করেন। তেমনি একজন স্থানীয় বনজীবী মোশারফ গাজী। যিনি কুমিরের আক্রমণে নিহত হন। এ বিষয়েই ‘ইত্যাদি’র এবারের পর্বে রয়েছে একটি হৃদয়ছোঁয়া প্রতিবেদন।
এছাড়া সমসাময়িক বিভিন্ন বিষয় ও প্রসঙ্গ নিয়ে সামাজিক অসঙ্গতি ও সমাজ সংস্কারের উপর ছিল বেশ কিছু তীক্ষ্ন ও তীর্যক নাট্যাংশ। নিয়মিত পর্ব হিসেবে এবারও যথারীতি ছিল নানি-নাতি পর্ব।
‘ইত্যাদি’ রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত। নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন। পুনঃপ্রচার হবে কেয়া কসমেটিকসের সৌজন্যে। অনুষ্ঠানটি একযোগে পুনঃপ্রচার হবে বিটিভি ও বিটিভি ওয়ার্ল্ডে।
(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/এজে)
মন্তব্য করুন