চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চাইলেন মেয়র শাহাদাত

চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বিজ্ঞানসম্মত সমাধানে দক্ষিণ কোরিয়ার সহায়তা চেয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন।
বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে চারটায় টাইগারপাসস্থ চসিক কার্যালয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিকের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ সহায়তা চান মেয়র।
সাক্ষাৎকালে মেয়র শাহাদাত বলেন, বন্দরনগরী চট্টগ্রামে প্রতিদিন দুই হাজার থেকে আড়াই হাজার টন কঠিন বর্জ্য তৈরি হয়। এ বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে ব্যব্স্থাপনা করা চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ।
এ বর্জ্যরে কারণে বন্দরনগরী একটু বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতায় ডুবে যায় জানিয়ে মেয়র বলেন, ‘কর্ণফুলী নদীর তলদেশ পলিথিন ও প্লাস্টিকে ঢেকে গেছে। এতে নাব্য হারানোর পাশাপাশি দূষণের কবলে পড়েছে নদীটি।’ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য বিভিন্ন দেশের একাধিক প্রস্তাব থাকলেও সেগুলো বাস্তবায়ন পরিবেশসম্মত কি না তা নিশ্চিত হতে চান বলে জানান মেয়র।
প্রযুক্তিগতভাবে উন্নত দক্ষিণ কোরিয়া চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার একটি সামগ্রিক সমাধান দিতে পারে বলে মনে করেন মেয়র। বলেন, ‘এর আওতায় বর্জ্য সংগ্রহ থেকে রিসাইক্লিং এবং বর্জ্যকে সম্পদে রূপান্তরের পথরেখা থাকবে। আমার স্বপ্ন আমি জনগণকে সাথে নিয়ে ক্লিন, গ্রিন, হেলদি চট্টগ্রাম গড়ব। চট্টগ্রামকে ঠিকভাবে ঢেলে সাজালে নদী-সমুদ্র-পাহাড়বেষ্টিত চট্টগ্রামের পর্যটন শিল্পকে কাজে লাগিয়ে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা আয় ও কর্মসংস্থান করা সম্ভব।’
বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মেয়র বলেন, দক্ষিণ কোরিয়ার বিনিয়োগের ফলে বিপুল কর্মসংস্থান হয়েছে চট্টগ্রামে। বর্তমানে নগরীর যোগাযোগ অবকাঠামোক ঢেলে সাজাতে আড়াই হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনেও নেয়া হয়েছে একাধিক প্রকল্প। ফলে বৈদেশিক বিনিয়োগের জন্য চট্টগ্রাম একটি আদর্শ স্থানে পরিণত হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার শিল্পগোষ্ঠীগুলো আরো বিনিয়োগ ও শিল্প-কারখানা স্থাপনের মাধ্যমে লাভবান হতে পারে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিশেষ করে অপচনশীল বর্জ্য ও ই-বর্জ্য ব্যবস্থাপনা এখন পুরো বিশ্বের জন্যই চ্যালেঞ্জ বলে মন্তব্য করেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত পার্ক ইয়ং-সিক। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় দক্ষিণ কোরিয়ার কোনো সংস্থাকে দায়িত্ব দেয়া হলে তা চট্টগ্রামের জন্য মঙ্গলকর হবে। এছাড়া, চট্টগ্রামের দ্রুত বর্ধনশীল জনসংখ্যা, শিল্পায়ন ও নগরায়নের চাপ সামলানোর জন্য যেকোনো সমস্যার সমাধানে দক্ষিণ কোরিয়ার অভিজ্ঞতা কাজে লাগাতে পারে বাংলাদেশ।
সভায় উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমি, আইন কর্মকর্তা মহিউদ্দিন মুরাদ, কোরীয় দূতাবাসের দ্বিতীয় সচিব লি নামসু, ডা. এস এম সরোয়ার আলম, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী (মারুফ)।
(ঢাকাটাইমস/৫ডিসেম্বর/মোআ)

মন্তব্য করুন