বরগুনায় ভাতিজার হাতে চাচা খুন

বরগুনার বেতাগী উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নে ভাতিজা অহিদুজ্জামানের (৩২) বিরুদ্ধে চাচা সুলতান হাওলাদারকে (৬০) কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর করুনা গ্রামে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এঘটনায় ভাতিজা অহিদুজ্জামানকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টায় মিষ্টি আলুর লতানো চারা বীজরোপন করাকে কেন্দ্র করে চাচা সুলতান হাওলাদারের সঙ্গে ঝগড়া বিবাদ হয় ভাতিজা অহিদুজ্জামানের। ঝগড়ার এক পর্যায়ে ভাতিজা অহিদুজ্জামান ধারালো দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে চাচা সুলতান হাওলাদারকে। পরে স্বজনরা চাচা সুলতানকে তাৎক্ষণিকভাবে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক অবস্থা খারাপ দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় (শেবাচিম) প্রেরণ করেন। প্রচুর রক্তক্ষরণ হওয়ায় ওইদিন রাত সাড়ে ৯ টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় সুলতান হাওলাদার।
এদিকে অভিযুক্ত ভাতিজা অহিদুজ্জামান পালানোর সময় মির্জাগঞ্জের সুবিদখালী বাসস্ট্যান্ড থেকে স্থানীয় লোকজন তাকে ধরে বেতাগী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
নিহতের বড় ছেলে বলেন, শুক্রবার বিকালে আসরের নামাজ শেষ করে বাড়ির উঠানে আসলেই ভাতিজা অহিদুজ্জামান এলোপাতাড়ি পেটে কোপাতে থাকে। এতে তার বাবার পেটের নাড়িভুঁড়ি বের হয়ে যায়। গামছা দিয়ে বেঁধে সাথে সাথে বেতাগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নিয়ে যেতে বলেন। পরে বরিশাল শেবাচিমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯ টায় মারা যান।
স্থানীয়রা জানান, চাচা সুলতান হাওলাদারের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ ছিল অভিযুক্ত ভাতিজা অহিদুজ্জামানের। এছাড়াও এলাকায় অপকর্মের সঙ্গে জড়িত থাকায় দীর্ঘদিন ধরে পলাতকও ছিল বলে জানায় স্থানীয়রা।
বেতাগী থানার তদন্ত কর্মকর্তা ফারুক হোসেন খান বলেন, ‘পালিয়ে যাওয়ার সময় ভাতিজা অহিদুজ্জামানকে সুবিদখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে বরগুনা জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বেতাগী থানায় মামলা করা হয়েছে।’
(ঢাকাটাইমস/৮ডিসেম্বর/এমআই)

মন্তব্য করুন