সেই হারুনের পর এবার সানজিদা বরখাস্ত, গুরুতর যে অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৩:২৩| আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:০০
অ- অ+

পরকীয়া প্রেমঘটিত কারণে আলোচিত পুলিশের সেই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সানজিদা আফরিনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সর্বশেষ সানজিদা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নে (এপিবিএন) কর্মরত ছিলেন। সেখান থেকে তাকে বরিশাল রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। এর আগে তিনি ডিএমপির অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (এডিসি) ছিলেন।

সানজিদার ইন্ধনে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে হত্যার দুটি মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং ন্যাশনাল টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) সাবেক মহাপরিচালক মেজর জেনারেল (অব.) জিয়াউল আহসানকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্ত প্রতিবেদন তৈরি করেছিলেন গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফ। এই কাজে সার্বক্ষণিক আরিফকে নির্দেশনা দিতেন সানজিদা। বিষয়টি জানাজানি হলে ওই প্রতিবেদন আদালতে জমা দিতে পারেননি ইন্সপেক্টর আরিফ জাহাঙ্গীর। এরপরই আজ রবিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে সানজিদাকে সাময়িক বরখাস্ত করে বরিশালে সংযুক্ত করা হলো।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সানজিদাকে সরকারি চাকরিবিধি আইনে বরখাস্ত করা হয়েছে। তিনি বরিশাল রেঞ্জে সংযুক্ত থাকবেন এবং বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন।

সূত্র বলছে, পরিদর্শক জাহাঙ্গীর আরিফকে ইতিমধ্যে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। ডিবির জিজ্ঞাসাবাদে জাহাঙ্গীর আরিফ দাবি করে, তিনি সানজিদা আফরিনের নির্দেশে ওই তিনজনের নামে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছিলেন।

গতবছরের ৯ সেপ্টেম্বর রাতে নারীঘটিত বিষয় নিয়ে ফজলুল হক হল ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন নাঈম ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের বিজ্ঞান বিষয়ক সম্পাদক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শহীদুল্লাহ হলের সাধারণ সম্পাদক শরীফ আহমেদ মুনিমকে নির্যাতন করার অভিযোগ ওঠে ডিএমপির তৎকালীন এডিসি হারুন অর রশীদ ও তার অধিনস্ত পুলিশের বিরুদ্ধে। প্রেমঘটিত কারণে ওই দুই ছাত্রলীগ নেতাকে থানায় তুলে এনে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন করা হয়। যা তখন দেশজুড়ে সমালোচিত হয়। ওই ঘটনায় বর্তমানে এডিসি হারুন সাময়িক বরখাস্ত হয়ে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত আছেন। আর চলতি বছরের ২৫ অক্টোবর সানজিদাকে ডিএমপিতে থেকে বদলি করে রংপুর পুলিশ ট্রেনিং সেন্টারে পদায়ন করা হয়। তবে এই দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে রংপুরে বদলি ঘটনায় বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই এপিবিএনে বদলি করা হয় সানজিদাকে। হারুন এবং সানজিদার মধ্যে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল। ঘটনার দিন বারডেম হাসপাতালে তারা অনৈতিক অবস্থায় স্বামীর হাতে ধরা পড়ে। বিষয়টি পরবর্তীতে রেষারেষি পর্যায়ে চলে যায়। সানজিদার স্বামী প্রশাসন ক্যাডারে কর্মকর্তা। বর্তমানে তিনি রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ে কর্মরত আছেন।

(ঢাকাটাইমস/২৯ডিসেম্বর/এসএস/এমআর)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ
যুদ্ধবিরতির মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীরে ফের বিস্ফোরণ
বিএনপির কাছে সবার আগে বাংলাদেশ, স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব: মুন্না
শাহবাগ ছেড়ে ইন্টারকন্টিনেন্টাল মোড়ে আন্দোলনকারীরা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা