জবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো পূর্ণাঙ্গ শাটডাউন, অচল ক্যাম্পাস

সেনাবাহিনীর কাছে দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ কাজ হস্তান্তরসহ তিন দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার সকাল থেকেই সব ধরনের একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্টিয়ারিং কমিটির মিটিংয়ে তাদের দাবি পূরণের দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নেওয়া না হলে আন্দোলন জোরদার করার ঘোষণা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় দিনের শাটডাউনে পুরো ক্যাম্পাসে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনগুলো তালাবদ্ধ, আর ক্লাস-পরীক্ষার জন্য কোনো শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়নি। কয়েকজন কর্মকর্তা ও কর্মচারী ক্যাম্পাসে থাকলেও তাদের দেখা যাচ্ছে বাইরে আড্ডা দিতে। পুরো ক্যাম্পাস কার্যত অচল অবস্থায় রয়েছে।
সোমবার সকাল থেকে পুরো ক্যাম্পাস শাট ডাউন ও টানা দ্বিতীয় দিনের মত অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক, শহীদ সাজিদ একাডেমিক ভবনে রফিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন তারা। শাট ডাউন কর্মসূচির সাথে একাত্মতা পোষণ করে বিশ্বিবদ্যালয়ের সকল বিভাগ ও দপ্তরে একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম বন্ধ রাখা হয়।
এর আগে রবিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে ৩ দফা দাবিতে গণ-অনশন শুরু করেন বিশ্ববিদ্যালয়টির শিক্ষার্থীরা। এদিন রাতে অনশনে অসুস্থ হয়ে প্রায় ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হন। উপাচার্যের বারবার অনুরোধেও অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা।
সোমবার দুপুর ২টায় সেনাবাহিনীকে দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের কাজ হস্তান্তর নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে একটি চিঠি ইস্যু করা হয়। এই চিঠিতে সেনাবাহিনীকে কাজ হস্তান্তর বিষয়ে বুধবার সচিবালয়ে সভা অনুষ্ঠিত হবে বলা হয়।
এ চিঠি আসার পর অনশনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে পাল্টা তিনটি দাবি জানানো হয়। সোমবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে লিখিত অঙ্গীকার পাওয়ায় টানা ৩৫ ঘণ্টা পর অনশন প্রত্যাহার করে নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। তবে বুধবার সভায় সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে শাটডাউন কর্মসূচি চালু রাখার ঘোষণা দেন তারা।
(ঢাকা টাইমস/১৪জানুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন