বিমানবন্দর সড়কে প্রবাসীর গাড়ি থামিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করল কারা?

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতের কবলে পড়েছিলেন দুবাইফেরত এক প্রবাসী ও তার পরিবার। সড়কে পুলিশের মতো নিরাপত্তা চৌকি বসিয়ে প্রবাসীর গাড়ি গতিরোধ করে ওই লোকগুলো। এরপর মূল্যবান জিনিস ও টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নেবার চেষ্টা করে তারা।
তবে প্রবাসীর প্রতিরোধ এবং ধস্তাধস্তিতে দুর্বৃত্তরা পেরে ওঠেনি। এ সময় তাদের হামলায় প্রবাসীর বহনকারী গাড়ির কাচ ভেঙে যায় এবং একজন নারী আহত হন। পরে তিনি ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা নেন। সোমবার (২০ জানুয়ারি) ভোর পাঁচটার দিকে রেডিসন ব্লু হোটেলের সামনে এই ঘটনা ঘটে।
রাজধানীর ব্যস্ততম সড়কে পুলিশের পরিচয়ে এভাবে পুলিশি ব্যারিকেড দিয়ে ডাকাতির চেষ্টা করল কারা?
জানা গেছে, গভীর রাতে দুবাই থেকে ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন সনজিৎ নামের ওই প্রবাসী। তাকে নিয়ে বাবা অমৃত সরকার, স্ত্রী মনিকা সরকারসহ পরিবারের সদস্যরা ফরিদপুরে বাড়ির উদ্দেশে রওনা দেন।
তাদের বহনকারী মাইক্রোবাসটি ক্যান্টনমেন্ট থানার হোটেল রেডিসনের সামনে এলে পুলিশের পোশাক পরা একজন ব্যক্তি সিগন্যাল লাইট দিয়ে গড়ি থামান। পরে ৭-৮ জনের একটি দল গাড়ির যাত্রী সনজিৎ ও তার পরিবারের পরিচয় এবং সঙ্গে থাকা ব্যাগ ও পাসপোর্ট চান। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে দুর্বৃত্তরা গাড়ির গ্লাস ভাঙচুর করে। এ সময় ভেতরের যাত্রীদের সঙ্গে তাদের টানাহেঁচড়ায় আহত হন মনিকা। প্রবাসীর পরিবারের সদস্যরা চিৎকার শুরু করলে দুর্বৃত্তরা হায়েস গাড়িতে চড়ে পালিয়ে যায়।
দুর্বৃত্তদের হামলায় আহত মনিকা সরকারকে ঢামেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে সকাল ৭টার দিকে তারা হাসপাতাল ছাড়েন।
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে সনজিৎ সরকারের বাবা অমৃত সরকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘ডাকাতের কবলে পড়ে আমার বৌমা সামান্য আহত হয়েছে। চিকিৎসা নিয়ে আমরা ফরিদপুর নিজের বাড়িতে পৌঁছে গেছি।’
ঢাকায় পুলিশের কাছে কোনো অভিযোগ করেননি জানিয়ে অমৃত সরকার আরও বলেন, ‘এসব নিয়ে থানা পুলিশ করতে চাইছি না। কারণ ফরিদপুর থেকে ঢাকায় গিয়ে আইনি লড়াই করা সম্ভব না। তাই থানা পুলিশকে কিছু বলিনি।’
তবে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ একটি জায়গায় পুলিশ পরিচয়ে ডাকাতি চেষ্টা হলেও সংশ্লিষ্ট থানার পুলিশ বলছে বিষয়টি তাদের জানা নেই। দুপুরে ক্যান্টনমেন্ট জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) নাজমুল হাসান বলেন, ‘ঘটনাটি শুনেছি। তবে যতটুকু জেনেছি ঘটনাস্থল বিমানবন্দর থানা এলাকার। আর ভুক্তভোগী কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি।’
বিমানবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাসলিমা আক্তার ঢাকাটাইমসকে জানান, এমন ঘটনার কথা জানা নেই তাদের। রাতে যারা ওই সড়কে ডিউটিতে ছিলেন তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, তবে তারা এমন কিছু জানাতে পারেনি।
পরে এসি নাজমুল হাসান ফোনে জানান, ঘটনাটি তাদের থানা এলাকায়। পুলিশ কাজ করছে। তবে ভুক্তভোগী পরিবার থানায় কোনো অভিযোগ করেনি।
(ঢাকাটাইমস/২০জানুয়ারি/এসএস/মোআ)

মন্তব্য করুন