বান্ধবীর বাসায় স্বর্ণ লুটে স্বামীকে দেন আইফোন ছেলেবন্ধুকে সোনার চেইন

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বান্ধবীর বাসা থেকে স্বর্ণালংকার চুরি করে স্বামীকে কিনে দিয়েছেন আইফোন, ছেলেবন্ধুকে দিয়েছেন স্বর্ণের চেইন। আর নিজের জন্য নেন স্মার্টফোন। এ ঘটনায় জড়িত থাকা তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (২৯ জানিুয়ারি) বিকালে গ্রেপ্তার স্বামী-স্ত্রীসহ ছেলেবন্ধুকে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর আওয়ালকান্দা এলাকার ইব্রাহিম মিয়ার মেয়ে সুমাইয়া বেগম (১৮) ও তার স্বামী রুহান মিয়া (২০) এবং সুমাইয়ার ছেলেবন্ধু ঘোড়াকান্দা এলাকার মৃত আবেদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন (১৯)।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জগন্নাথপুর আওয়ালকান্দা এলাকার সুমাইয়া বেগম কমলপুর নিউ টাউন এলাকার বান্ধবী নিধির বাড়িতে বেড়াতে যান। নিধি মামার বাসায় থাকতেন। এ সময় নিধির মামি ও তার সন্তান বাসায় না থাকায় সুমাইয়া বেগম আলমারি থেকে ৬ ভরি ১১ আনা স্বর্ণালংকার চুরি করেন। পরে এসব অলংকার বিক্রি করে স্বামীর জন্য আইফোন ও নিজের জন্য কেনেন একটি স্মার্টফোন এবং বন্ধুকে দেন ১৪ আনা ওজনের একটি চেইন।
একটি চুরির অভিযোগ পেয়ে ২৫ জানুয়ারি শহরের কমলপুর নিউটাউন এলাকার বান্টি বেগমের বাসায় যায় ভৈরব থানার পুলিশ। পুলিশ সেখানকার সিসিটিভির ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মঙ্গলবার রাতে চুরির ঘটনার সাথে জড়িত সুমাইয়াকে গ্রেপ্তার করে। জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকার করেন সুমাইয়া। পরে তার দেয়া তথ্যমতে স্বামী রুহান ও তার বন্ধু আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় আক্তারের কাছ থেকে ১৪ আনা ওজনের একটি চেইন উদ্ধার করা হয়।
অভিযোগকারী বান্টি বেগম বলেন, ‘আমাদের বাড়িতে একসময় ভাড়া থাকত সুমাইয়া ও তার পরিবার। ২৫ জানুয়ারি আমি ও আমার মা বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার বড় বোনের মেয়ে নিধির বান্ধবী সুমাইয়া ওই দিন সন্ধ্যায় বাড়িতে ঢুকে স্বর্ণালংকার চুরি করে। সে আলমিরাতে থাকা ১৪ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের চেইন, ১ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের ব্রেসলেট, ৩ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের আংটি, ৫ আনা ওজনের ১টি স্বর্ণের আংটি, ৩.৫ ভরি ওজনের ১টি স্বর্ণের হার, ২টি স্বর্ণের কানের দুলসহ ৬ ভরি ১১ আনা স্বর্ণ চুরি করে নিয়ে যায়।’
ভৈরব থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শাহীন বলেন, ‘সুমাইয়া চুরি করা স্বর্ণালংকার বিক্রি করে তার স্বামীর জন্য ১ লাখ টাকা দিয়ে আইফোন ও বন্ধুকে স্বর্ণের চেইন দেয়। নিজের জন্য একটি স্মার্ট ফোন কেনে। তার কাছে কিছু নগদ টাকাও পাওয়া যায়। তাদের আজ আদালতের মাধ্যমে কিশোরগঞ্জ কারাগারে পাঠানো হয় বলে তিনি জানান তিনি ।
(ঢাকাটাইমস/২৯জানুয়ারি/মোআ)

মন্তব্য করুন