যৌথবাহিনীর হেফাজতে যুবদল নেতার মৃত্যুতে ছাত্রদলের নিন্দা

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পাঁচথুবী ইউনিয়ন যুবদলের আহ্বায়ক তৌহিদুল ইসলাম গভীর রাতে নিজ বাড়ি থেকে পিতার কুলখানির আয়োজনে ব্যস্ত থাকা অবস্থায় যৌথবাহিনীর হাতে আটকের পর মারা গেছেন।
নিহত তৌহিদুল ইসলামের শরীরে নির্যাতনের অসংখ্য চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি চিকিৎসক ও তার পরিবারের সদস্যরাও নিশ্চিত করেছেন।
শনিবার ছাত্রদলের দপ্তর সম্পাদক (সহ-সভাপতি মর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে যৌথবাহিনী কর্তৃক যুবদল নেতা তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব ও সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
নেতৃবৃন্দ বলেন, হত্যাকারীদের অবিলম্বে চাকরি থেকে অব্যাহতি এবং গ্রেপ্তারপূর্বক আইনের আওতায় আনতে হবে। কোনো খুনি রাষ্ট্রীয় বাহিনীর সদস্য হিসেবে থাকতে পারে না।
নেতৃদ্বয় আরও বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার আমলে অসংখ্য বিএনপি, যুবদল, ছাত্রদলের নেতাকর্মীসহ বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে থাকা অবস্থায় নিষ্ঠুর নির্যাতনের শিকার হয়ে মর্মান্তিকভাবে মৃত্যুবরণ করেছে। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্টের পতনের পরও বিএনপি, ছাত্রদল, যুবদলের নেতাকর্মীদের ওপর বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড চলমান রয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বিএনপির নেতাকর্মীদের মৌলিক মানবাধিকারের সুরক্ষা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সরকারকে অতি দ্রুত জনগণ এবং গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। নিহত তৌহিদুল ইসলামের হত্যাকাণ্ডের যথাযথ বিচার এবং তার পিতাহারা চার কন্যা সন্তানের আর্থিক ও নিরাপত্তাসহ সকল সুরক্ষার দায়িত্বও রাষ্ট্রকে বহন করতে হবে।
(ঢাকাটাইমস/০১ফেব্রুয়ারি/জেবি/এফএ)

মন্তব্য করুন