বিএনপি নেতা রুবেল হক বিশুর ওপর হামলার অভিযোগ

আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে রামপুরা থানা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল আহমেদ দুলু লোক দিয়ে ঢাকা মহানগর উত্তর রামপুরা থানাধীন ২৩ নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মো. রুবেল হক বিশু ব্যাপারীর ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে গুরুতর আহত করেছেন বলে অভিযোগ।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৮টায় রাজধানীর মালিবাগ বাজাররোড রুপালি ক্লাবের পাশে মাংসের দোকানের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
অভিযোগ, দুলুর নির্দেশে ডিম মনা, তালাত, কেরেচ্ছা আলম, মাসুম খানসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫জন এ হামলা চালায় । তারা চুরি, চাপাতি, জিআই প্রাইপ দিয়ে বিশুকে বেধড়ক পিটিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। এ সময় বিশু মাটিতে লুটিয়ে পড়লে স্থানীয় জনতা তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়।
গত ৯ অক্টোবর দুলু খিলগাঁওয়ের তালতলা মার্কেট নিজস্ব লোকজন নিয়ে দখল করতে গেলে সেখানকার লোকজন বাধা দেয়। তারই জেরে দুলুর লোকজন স্থানীয় বিএনপি ও ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে চাপাতি দিয়ে কোপায়। সেই ঘটনায় খিলগাঁও থানায় আসাদুজ্জামান রিপন (৩৬) নামে এক ব্যক্তি দুলুকে ১৮ নং আসামি করে ৪০ জনসহ ১৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে খিলগাঁও থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা করেন।
আহত বিএনপি নেতা বিশু বলেন, ‘আমি রামপুরা থানাধীন ২৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালীন আমি ১১৬টি মামলার আসামি হয়েছি, ১৭ বছরে ১৭ দিন বাসায় থাকতে পারিনি। বছরের পর বছর জেল খেটেছি। কত নির্যাতন ও নিপীড়নের স্বীকার হয়েছি তা বলে শেষ করা যাবে না। দল ক্ষমতায় না এলেও এখন আমরা স্বাধীন হয়েছি, স্বাধীনভাবে চলতে পারি। আমার রাজনীতির পথপ্রদশর্ক, আমার নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর নির্দেশনা আছে, এলাকায় কোনো চাঁদাবাজি দখলবাজি করা যাবে না, কাউকে করতে দেওয়া যাবে না। সেই পথে আমি হাঁটতে গিয়ে আজ নির্যাতিত নিপীড়িত।’
হামলার বিষয়ে বিশু বলেন, ‘গত ১ ফেব্রুয়ারি রামপুরা থানা যুবদলের আহ্বায়ক কামাল আহমেদ দুলু ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে মালিবাগ কমিউনিটি সেন্টারের উল্টো পাশে সিএনজি স্ট্যান্ড দখল করতে গেলে আমি বাঁধা দেই। সে কারণে গত ৩ ফেব্রুয়ারি মালিবাগ বাজাররোড রুপালি ক্লাবের পাশে মাংসের দোকানের সামনে আমাকে একা পেয়ে তার ক্যাডার বাহিনী দিয়ে আমার উপর এই নৃশংস হামলাটি করান।’
তার অভিযোগ, ‘রামপুরা থানায় দুলুর বিরুদ্ধে মামলা করতে গেলে সেখানকার ওসি মো. আতাউর দুলুর নাম বাদ দিয়ে মামলা দিতে বলেন এবং মিলেমিশে কাজের অনুরোধ করেন। পরবর্তীতে ডিমমনা, তালাত, কেরেচ্ছা আলম, মাসুম খানসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫জনের নাম দিয়ে মামলা নেন তিনি।
এই বিষয়ে রামপুরা থানার ওসি আতাউর রহমান বলেন, ‘বাদী পক্ষ এজেহারে যাদের নাম দিয়েছি আমরা তাদের নাম দিয়েছি। এখন পযর্ন্ত কোনো আসামিকে ধরা যায়নি।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল আহমেদ দুলু বলেন, ‘আমি সামনে কাউন্সিলর নির্বাচন করব। আমার বিরুদ্ধে একটা মহল অপপ্রচার করছে।’
(ঢাকাটাইমস/৬ফেব্রুয়ারি/এলএম/এজে)

মন্তব্য করুন