নোয়াখালীতে ১১ বছর পর তিন শিবিরকর্মীর মরদেহ উত্তোলন

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর এলাকায় আওয়ামী লীগ ও পুলিশের গুলিতে নিহত তিন শিবিরকর্মীর মরদেহ ১১ বছর পর কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে।
সোমবার বিকালে পর্যায়ক্রমে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে এ মরদেহগুলো উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, প্রথমে চরহাজারী ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুর রাজ্জাকের ছেলে শিবিরকর্মী আবদুল আজিজ রায়হান, পরে রামপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মৌলভী নুরুল ইসলামের ছেলে সাইফুল ও সবশেষে চরকাঁকড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের আবুল কাশেমের ছেলে সাইফুল ইসলামের পারিবারিক কবরস্থান থেকে মরদেহ উত্তোলন করা হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম, হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) এসআই মঈনুল হোসেন, জামায়াতে ইসলামীর বসুরহাট পৌরসভা আমির মাওলানা মোশাররফ হোসাইন, সেক্রেটারি মাওলানা হেলাল উদ্দিন ও নিহতের স্বজনেরা।
এর আগে ২০১৩ সালে ৪ জামায়াত-শিবিরকর্মী গুলিতে নিহতের ঘটনায় গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা করা হয়। এর প্রেক্ষিতে ময়নাতদন্তের জন্য আদালত ওই চারজনের মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের নির্দেশ পাওয়ার পর গত বছরের ১০ ডিসেম্বর দুপুরে নিহত শিবিরকর্মী সজিবের মরদেহ উত্তোলন করা হয়।
প্রসঙ্গত; ২০১৩ সালে ১৪ ডিসেম্বর নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌর এলাকায় জামায়াত-শিবিরের ৪ নেতাকর্মীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় নিহত জামায়াত কর্মী সাইফুল ইসলামের বড় ভাই মো. আমিরুল ইসলাম বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলার জন্য আবেদন করেন। আদালত আবেদনটি আমলে নিয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানাকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেয়। পরে গত ২৬ সেপ্টেম্বর কোম্পানীগঞ্জ থানা ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই বসুরহাট পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আবদুল কাদের মির্জা, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, সাবেক ইউএনও নুরুজ্জামান, তৎকালিন থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুল ইসলাম ও ১৯ পুলিশ সদস্যসহ ১১২ জনের নাম উল্লেখ করে একটি হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়।
(ঢাকা টাইমস/২৪ফেব্রুয়ারি/এসএ)

মন্তব্য করুন