এবার ইসরায়েলে পাল্টা হামলা হুথি-হামাসের

যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনীর বর্বর বিমান হামলার জবাবে তেল আবিবে রকেট হামলা চালিয়েছে ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস এবং ইরান-সমর্থিত ইয়েমেনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হুথি। এতে বৃহস্পতিবার ভোর ৪টায় সাইরেন বেজে উঠলে মধ্য ইসরায়েলের লাখ লাখ মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে বাধ্য হয় এবং তেল আবিবের বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরে বিমান চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ভোরে থেকে প্রথমে ইয়েমেন থেকে বেশ কয়েকটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় হুথিরা।
এক বিবৃতিতে হুথি দাবি করেছে, গাজায় নতুন করে স্থল ও বিমান হামলায় বেসামরিক প্রাণহানি বৃদ্ধির প্রতিশোধে তাদের যোদ্ধারা ‘হাইপারসোনিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র’ দিয়ে বেন গুরিয়ন বিমানবন্দরকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে। একই সঙ্গে লোহিত সাগরে একটি মার্কিন বিমানবাহী রণতরীকে লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে বিবৃতিতে দাবি করেছে গোষ্ঠীটি।
হুথির হামলার বিষয়ে আইডিএফের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ইসরায়েলে প্রবেশের আগেই ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ভূপাতিত করা হয়েছিল।
দেশটির ম্যাগেন ডেভিড অ্যাডম অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিস জানিয়েছে, তারা ক্ষেপণাস্ত্র থেকে সরাসরি কোনো আঘাতের খবর পায়নি, যদিও আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটে যাওয়ার সময় আহত ১৩ জন এবং তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন এমন আরও তিনজনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এদিকে হুথিদের পরপরই অবরুদ্ধ গাজা থেকে তেল আবিবে রকেট নিক্ষেপ করে হামাসও।
হামাসের সশস্ত্র শাখা আল-কাশেম ব্রিগেডস এক বিবৃতি বলেছে, গাজার বেসামরিক নাগরিকদের ইসরায়েলি ‘গণহত্যার’ প্রতিশোধে তারা তেল আবিবে রকেট নিক্ষেপ করেছে। হামলায় বেশ কয়েকজন ইসরায়েলি হতাহত হওয়ার দাবিও জানায় আল-কাশেম ব্রিগেডস।
ইসরায়েলি পুলিশের একজন মুখপাত্রের বরাত দিয়ে টাইমস অব ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাসের দাবি অনুসারে মধ্য ইসরায়েলে রকেট হামলায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। গাজা থেকে ছোড়া একটি প্রোজাক্টাইল ইসরায়েলের বাইরেই আটকে দেওয়া হয়েছে। এছাড়া অন্য দুটি প্রোজেক্টাইল জনবসতিহীন উন্মুক্ত একটি এলাকায় আঘাত হেনেছে।
প্রসঙ্গত, গত ১৯ জানুয়ারি থেকে শুরু হওয়ার যুদ্ধবিরতি ভেঙে মঙ্গলবার ভোর থেকে উপত্যকা জুড়ে বিমান হামলা শুরু করে ইসরায়েল।
হামাস পরিচালিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, ইসরায়েলি বাহিনীর নতুন করে শুরু করা হামলায় গাজায় তিনদিনে প্রায় ২০০ জন শিশুসহ এক হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল, আল জাজিরা
(ঢাকাটাইমস/২০মার্চ/এমআর)

মন্তব্য করুন