আ. লীগকে ৫ আগস্ট দেশের জনগণ নিষিদ্ধ করেছে: আবু হানিফ

গণঅধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদ সদস্য ও গণমাধ্যম সমন্বয়ক আবু হানিফ বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছর দেশে গুম খুন চালিয়েছে, মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। দেশের মানুষের উপর দমন-পীড়ন চালিয়েছে। যার ফলেই কিন্তু জুলাই গণঅভ্যুত্থানে এই দেশের মানুষ রাজপথে নেমেছিল। আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছে আওয়ামী লীগ। সেই আওয়ামী লীগকে এই দেশের জনগণ ৫ আগস্টেই নিষিদ্ধ করেছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সাত মাস পেরিয়ে গেলেও আওয়ামী লীগকে অফিসিয়ালি নিষিদ্ধ করতে না পারা এই সরকারের ব্যর্থতা।
শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে গণঅধিকার পরিষদ কর্শা কড়িয়াইল ও দানাপাঠুলি ইউনিয়নের উদ্যোগে ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আবু হানিফ বলেন, আওয়ামী লীগকে এই দেশের মানুষ রাজনীতি করতে দিবে না। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ৭ মাস পেরিয়ে গেছে। এখনও জুলাই গণহত্যার বিচার করতে পারে নাই। বিভিন্ন ভাবে আওয়ামী লীগ কে পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। যারাই আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করবে, তাদের বিরুদ্ধেই আমরা রাস্তায় নামবো। আমরা বেঁচে থাকলে গণহত্যাকারী আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে ফিরতে পারবে না। গণহত্যায় জড়িত থাকা আওয়ামী লীগ বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার হারিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, অফিসিয়ালি আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত গণঅধিকার পরিষদ রাজপথে থাকবে। গণঅধিকার পরিষদ এই দেশের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সম্প্রতির রাজনীতি করতে চায়। আমরা সমাজে কেন বিভেদ চাই না। সমাজের সকল মতের মানুষকে নিয়ে একসাথে সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মাণ করতে চাই। আপনাদের প্রতি আহ্বান তরুণদের এই রাজনৈতিক দলকে সমর্থন আমরা আপনাদের সাথে নিয়ে বৈষম্যহীন গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ গড়তে চাই।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ঈদ উপলক্ষে ১০ কেজি করে ভিজিএফের চাল দেওয়ার কথা থাকলেও জেলার বিভিন্ন স্থানে চাল দেওয়া হচ্ছে ৭-৮ কেজি করে। করিমগঞ্জের কাদিরজঙ্গল ইউনিয়নে আশরাফুল আলম কনক চেয়ারম্যান চাল কম দিয়ে ৩৪ বস্তা চাল অন্যত্র সরিয়ে ফেলার সময় সেনাবাহিনীর হাতে ধরা পরে। ইটনা উপজেলায়ও ১৪৪ বস্তা চাউল জব্দ করা হয়। এসব চাল চুরির সঙ্গে যে-সব চেয়ারম্যান কিংবা মেম্বাররা জড়িত তাদের অবশ্যই বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।
ইফতার মাহফিলে সভাপতিত্ব করেন- গণঅধিকার পরিষদ কর্শা কড়িয়াইল ইউনিয়নের আহ্বায়ক মোহাম্মদ সেলিম। সঞ্চালনা করনে সদর উপজেলার সদস্য সচিব মোস্তফা আল মামুন। আরও বক্তব্য রাখেন- বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সুমন তালুকদার, গণঅধিকার পরিষদের কিশোরগঞ্জ জেলার সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম, সদর উপজেলার আহ্বায়ক মোমিন উদ্দিন জনি,জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক পায়েল চৌধুরী, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি সোহাগ মিয়া, দানাপাটুলী ইউনিয়নের নেতা আনিসুর রহমান আরমান, আকরাম হোসাইন,শফিকুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম সভাপতি ১১ নং দানাপাটুলী ইউনিয়ন বিএনপি, মনির হোসেন ইউপি সদস্য ১১ নং দানাপাটুলী ইউনিয়ন।
(ঢাকাটাইমস/২১মার্চ/জেবি/এমআর)

মন্তব্য করুন