ভৈরবে দম্পতির বিরুদ্ধে মিথ্যা মাদক মামলা দেওয়ায় এসআই ক্লোজড

অটোরিকশাচালক ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মাদকের মিথ্যা মামলা দিয়ে টাকা নেওয়ার অভিযোগে ভৈরব থানার এসআই আল মামুনকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে।
শুক্রবার রাতে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী (বিপিএম সেবা)।
তিনি জানান, মাদকের সাথে কোনো আপস নয়। শুক্রবার দুপুরে ভৈরবের একটি পরিবার এসআই মামুনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছে জানতে পেরেছি। আপাতত এসআই আল মামুনকে কিশোরগঞ্জ পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। প্রমাণ পেলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জানা যায়, গত ৮ মার্চ রাতে মাদক কারবারি আকবর আলীর ঘর থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এসআই শ্যামল ১০ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় আকবর ও তার স্ত্রী রুবি বেগমের নামে মামলা না দিয়ে উল্টো তারই ছোট ভাই অটোচালক মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী স্মৃতি বেগমের কাছে এক লাখ টাকা দাবি করেন এসআই আল মামুন ও শ্যামল। টাকা না দেওয়ায় মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রীকে এসআই আল মামুন গ্রেপ্তারের হুমকি দেন। ১১ মার্চ রাত ১টায় এসআই আল মামুন মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে গিয়ে তাকে আটক করে পুনরায় ১ লাখ টাকা দাবি করেন। মামলা থেকে বাঁচার জন্য প্রতিবেশীর কাছ থেকে ১৫ হাজার টাকার বিনিময়ে ছাড়া পান মোহাম্মদ আলী ও তার স্ত্রী।এ বিষয়ে গত শুক্রবার বিকালে এসআই আল মামুন ও এসআই শ্যামল দেবনাথের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী মোহাম্মদ আলী ও তার পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ করেন এসআই মামুন মাদক কারবারি আকবর ও তার স্ত্রী রুবি বেগমের সাথে যোগসাজশে তাদেরকে মামলার আসামি করেন।
সংবাদ সম্মেলনের বিষয়টি বিভিন্ন ফেসবুক আইডিতে প্রচার হলে ও অভিযোগের বিষয়টি কিশোরগঞ্জ জেলার পুলিশ সুপার বরাবর পৌঁছালে রাতেই এসআই মামুনকে জেলা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করেন।
ভৈরব থানার উপ-পরিদর্শক আল মামুন তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মামলার বাদী শ্যামল চন্দ্র দেবনাথ। আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হচ্ছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা।
এ বিষয়ে শ্যামল চন্দ্র দেবনাথের সাথে কথা হলে তিনিও অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, মাদক উদ্ধারের ১ দিন পর মাদক মামলা দায়ের করেছি। কার মাদক দিয়ে কাকে মামলা দিয়েছি তখনতো কেউ এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করেনি।
(ঢাকা টাইমস/০৫এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন