গত ২৩ দিন ধরে নিখোঁজ রয়েছেন নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামের জাবেদ হোসেন। নিখোঁজ জাবেদ ইউনিয়ন যুবদলের একজন সক্রিয় কর্মী ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে জাবেদের কোনো সন্ধান না পাওয়ায় তার পরিবারে উৎকন্ঠা বিরাজ করছে।
মঙ্গলবার সকালে খিলপাড়া ইউনিয়নের নাহারখিল গ্রামে নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এমন তথ্য জানান জাবেদের স্ত্রী শারমিন আক্তার রুপা।
সংবাদ সম্মেলনে জাবেদের স্ত্রী জানান, গত জুলাই মাসে ইরাক থেকে দেশে আসেন জাবেদ। বিদেশ যাওয়ার আগে ও বিদেশ থেকে আসার পর আবারও তিনি যুবদলের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। গত ১৫ মার্চ রাতে বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর আর বাড়ি ফিরে আসেননি জাবেদ। ওই রাতে ফেসবুকসহ বিভিন্ন মাধ্যমে তারা জানতে পারেন জাবেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এরপর পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সাথে যোগাযোগ করে ও সম্ভাব্য স্থানে খোঁজাখুঁজি করেও জাবেদকে পাওয়া যায়নি। পরে এ ঘটনায় ১৬ মার্চ তিনি বাদী হয়ে চাটখিল থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি এবং ১৮ মার্চ আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু এখনো আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা তার কোনো সন্ধান দিতে পারেনি।
তিনি আরও বলেন, বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার সময় আমরা জানতে পারি স্থানীয় কয়েকজনের সাথে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে জাবেদের বিরোধ ছিল। তাদের মধ্যে কেউ হয়তো জাবেদকে অপহরণ করেছে বলে তিনি ধারণা করছেন। অভিযোগের পর চাটখিল থানা পুলিশ জাবেদের সবশেষ অবস্থান (লোকেশন) সোনাইমুড়ী উপজেলার দশঘরিয়া এলাকায় বলে জানিয়েছেন এ গৃহবধূ।
২৩ দিন পার হলেও প্রশাসন তার স্বামীর কোনো সন্ধান দিতে না পারায় হতাশা প্রকাশ করে রুপা বলেন, বর্তমানে আমি সাত মাসের অন্তঃসত্ত্বা। এই অবস্থায় আমি আমার দুই ছেলেকে নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছি। এখনো পর্যন্ত আমরা জানি না জাবেদ বেঁচে আছে নাকি কেউ তাকে খুন করেছে। জাবেদকে উদ্ধারের জন্য তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন।
প্রসঙ্গত, ওইদিন থেকে জাবেদের সাথে একই এলাকার সোহাগ নামেরও একজন নিখোঁজ রয়েছেন। জাবেদ ও সোহাগ একসাথে চলাফেরা করতেন। পুলিশ সোহাগের সবশেষ লোকেশন কুমিল্লা ও জাবেদের দশঘরিয়া বলে জানিয়েছে।
(ঢাকা টাইমস/০৮এপ্রিল/এসএ)
ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন