মৌলভীবাজারে ভুল টার্গেটে খুন হন আইনজীবী সুজন, গ্রেপ্তার ৫

মৌলভীবাজারে ভুল টার্গেটে আইনজীবী সুজন মিয়াকে মিসবাহ ভেবে খুন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার (এসপি) এমকেএইচ জাহাঙ্গীর হোসেন। এই ঘটনায় হত্যার মূল পরিকল্পনাকারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান তিনি।
পুলিশ সুপার জানান, সদর উপজেলার কালিশপুর ইউনিয়নের নজিরের সঙ্গে প্রতিবেশী মিসবাহের পূর্বশত্রুতা ছিল। তাই অগ্রণী ব্যাংকের নিরাপত্তারক্ষী হিসেবে কাজ করা মিসবাহকে খুনের পরিকল্পনা করেন নজির। তিনি দুই বছর আগে চাঁদনীঘাট হোটেলে কাজ করার সময় দুধ ব্যবসায়ী লক্ষণের সঙ্গে পরিচিত হন। লক্ষণের মাধ্যমে মিসবাহকে খুনের জন্য টাকার বিনিময়ে লোক ভাড়া করেন নজির। সেই সঙ্গে খুনিদের মোবাইল ফোনে মিসবাহের ছবি পাঠান। ৬ এপ্রিল রাতে ভাড়াটে খুনিরা আইনজীবী সুজনকে দেখে মিসবাহ ভেবে নজিরের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করেন। পরে আব্দুর রহিমের মাধ্যমে উভয় পক্ষে ভিডিও কলে কথা হলে নজির খুনের নির্দেশ দেন। ওই নির্দেশ পেয়ে মিসবাহ ভেবে সুজনকে হত্যা করা হয় বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়।
৬ এপ্রিল রাত ১১টার দিকে মৌলভীবাজার পৌরসভা কার্যালয়ের পশ্চিম পাশে আইনজীবী সুজনের ওপর ১০-১২ জন অতর্কিত হামলা করেন। তারা উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে সুজনকে হত্যা করেন। এ ঘটনায় তার ভাই এনামুল হক সুমন বাদী হয়ে মৌলভীবাজার মডেল থানায় ৮ এপ্রিল হত্যা মামলা করেন।
পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘ঘটনায় জড়িত অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে তৎপরতা অব্যাহত আছে। পলাতক হত্যাকারীদের পরিচয় উদ্ঘাটন করা হয়েছে, তবে মামলার তদন্তের স্বার্থে তাঁদের নাম প্রকাশ করা সম্ভব হচ্ছে না। আমরা আসামি নজির মিয়ার কাছ থেকে ঘটনায় ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি জব্দ করেছি। নজির মিয়াকে আটক করার পর মামলার মূল রহস্য উদ্ঘাটন হয়। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সব ডিজিটাল প্রমাণ আমরা উদ্ধার করেছি।’
(ঢাকা টাইমস/১০এপ্রিল/এসএ)

মন্তব্য করুন