পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় বিশ্ব নেতাদের সঙ্গে ড. ইউনূস

ভ্যাটিকান সিটিতে পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় অধ্যাপক ইউনূস বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় নেতা এবং বিশিষ্টজনদের মাঝে আসন গ্রহণ করেন।
শনিবার সেন্ট পিটার্স স্কয়ারে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, প্রিন্স উইলিয়ামসহ বেশ কয়েকজন বিশ্বনেতা এবং বিশিষ্টজন পোপের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় যোগ দেন।
এছাড়াও ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ, স্পেনের রাজা ফিলিপ ষষ্ঠ ও রানি লেতিজিয়া, জার্মানির প্রেসিডেন্ট ফ্রাংক-ভাল্টার স্টাইনমায়ার, বিদায়ী চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইতালির প্রেসিডেন্ট সার্জিও মাত্তারেল্লা এবং প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনিসহ অন্যান্য ইউরোপীয় নেতা অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠান শুরুর আগে এবং পরে প্রধান উপদেষ্টা বেশ কয়েকজন বিশ্ব নেতার সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন, যাদের মধ্যে ছিলেন জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস, জার্মান চ্যান্সেলর ওলাফ শলৎজ, ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ফন ডার লেইন, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন, ফিনল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব, কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট, মন্টেনেগ্রোর প্রেসিডেন্ট, লুক্সেমবার্গের গ্র্যান্ড ডিউক ও গ্র্যান্ড ডাচেস, ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট, পূর্ব তিমুরের প্রেসিডেন্ট, হন্ডুরাসের প্রধানমন্ত্রী, আইসল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট, পর্তুগালের প্রেসিডেন্ট, বেলজিয়ামের রাজা ও রানি, বেলজিয়ামের প্রধানমন্ত্রী, মোনাকোর প্রিন্স আলবার্ট, নরওয়ের প্রিন্স ও প্রিন্সেস, তিউনিশিয়ার প্রধানমন্ত্রী, লিচেনস্টাইনের প্রিন্স ও প্রিন্সেস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মহাপরিচালক, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাখ, শ্রীলঙ্কা, বাহরাইন এবং সিরিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীবৃন্দ এবং সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি।
প্রয়াত পোপ ফ্রান্সিস অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাজের দারুণ ভক্ত ছিলেন এবং তার কাজের ভূয়সী প্রশংসা করতেন।
বিশেষ করে বিশ্বজুড়ে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য অধ্যাপক ইউনূসের কর্মযজ্ঞ এবং তাঁর ‘তিন শূন্য’ তত্ত্ব —যেখানে কোনো বেকারত্ব, দারিদ্র্য এবং কার্বন নিঃসরণ থাকবে না, এর প্রশংসা করতেন।
রোমের ভ্যাটিকানে তিনি ২০০৬ সালের শান্তিতে নোবেল বিজয়ীর সঙ্গে যৌথভাবে ‘তিন শূন্য উদ্যোগ’ও চালু করেছিলেন।
(ঢাকাটাইমস/২৬এপ্রিল/এমআর)

মন্তব্য করুন