শার্শায় ৫০০ একর ফসলি জমি পানির নিচে

টানা কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে যশোরের শার্শার রুদ্রপুরের ইছামতী নদীর পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে ঠেঙ্গামারী ও আওয়ালী বিল। ফলে বিল দু-টিতে থাকা প্রায় ৫০০ একর এক ফসলি জমি পানির নিচে চলে গেছে।
স্থানীয় কৃষকরা জানিয়েছেন, উপজেলার রুদ্রপুর, গোগা, শার্শা, বাহাদুরপুর, পুটখালী, বাগআঁচড়া, নাভারণ ও সামান্য অংশে শ্যামলাগাছি, বেনাপোলসহ বিভিন্ন গ্রামের বিস্তীর্ণ জমিতে এখনও পানি জমে আছে। প্রতি বছর বর্ষা মৌসুমে ইছামতী নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে এই জমিগুলো ডুবে যায়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
স্থানীয়রা বলছেন, ইছামতী নদীর মুখে সঠিকভাবে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা না থাকায় এবং নদীটি সঠিকভাবে খনন না হওয়ায় পানি দ্রুত নিষ্কাশন হয় না। ফলে ঠেঙ্গামারী ও আওয়ালী বিল এলাকার জমিতে দীর্ঘদিন পানি জমে থাকে। এতে করে এসব জমিতে একটি মাত্র ফসল উৎপাদন করা সম্ভব হয়।
রুদ্রপুরের কৃষক হোসেন আলী জানান, প্রতি বছর বর্ষার সময় আমাদের এই এলাকার জমিতে পানি জমে যায়। কিন্তু সঠিক ড্রেনেজ ও নদী খননের অভাবে সমস্যা থেকে যাচ্ছে। প্রশাসনের উচিত টেকসই ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাতে করে কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন। তারা সরকারি সহায়তা ও নদী খননের দাবি জানিয়েছেন।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা দীপক কুমার সাহা জানান, চলতি বছরে ভারী বর্ষণে এই দুটি বিলে ৫ হেক্টরের মতো আমনের বীজতলা নষ্ট হয়েছে। এছাড়াও ৩৫ হেক্টরের মতো আমন ধান ও ২০ হেক্টরের মতো পাট ফসলের ক্ষতি হয়েছে। বিলের পানি জমায় ঠেঙ্গামারী বিলে ৫০০ একরের মতো জমিতে আমন চাষ না হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। প্রতি বর্ষা মৌসুমেই এই দুটি বিলে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উচিত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা।(ঢাকা টাইমস/২১জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন