বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু

বগুড়ার আদমদীঘি উপজেলার সান্তাহারে মোটরসাইকেল নিয়ে রেললাইন ক্রস করার সময় ট্রেনে কাটা পড়ে নাছিম মাহমুদ জয় (৩২) নামে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দুপুর ২টায় সান্তাহার রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহত নাছিম মাহমুদ জয় উপজেলার ছাতিয়ানগ্রাম ইউনিয়নের চক সোনার গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সান্তাহার রেলওয়ে থানার ইনচার্জ হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, নিহত জয় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে মেরিন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ছুটিতে তার নিজ গ্রামে এসেছিলেন তিনি। রবিবার দুপুরে নওগাঁর উদ্দেশ্যে মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ি থেকে বের হন। এরপর সান্তাহার রেলওয়ে জংশন স্টেশনের রেলগেট এলাকায় পৌছান। ওই সময় ট্রেন যাওয়ার সময় হয়েছে জন্য রাস্তার দুপাশে ব্যারিকেড দেয়া ছিলো। এখানে যেটা হয় ট্রেনের সিগন্যাল হলেই রাস্তার দুপাশে ব্যারিকেড দেয়া হয় যাতে করে কেউ পারাপার হতে না পারে। এক্ষেত্রে ট্রেন আসতে অনেক সময় ৫ থেকে ২০ মিনিটও সময় নেয়। এর মধ্যে যেটা হয় আপনারা দেখেছেন, ব্যারিকেডের ফাক দিয়ে মোটর সাইকেল, বাইসাইকেল আবার অটোরিকশাও চলাচলের চেষ্টা করে। আজকেও তেমনটি ঘটেছে। তাকে সেখানে নাকি নিষেধও করেছিলো ওই সময় না যেতে। কিন্তু তিনি যাওয়ার চেষ্টা করলে দ্রুতগতির ঢাকাগামী লালমনি এক্সপ্রেসের ট্রেনে কাটা পড়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান। আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশটি উদ্ধার করেছি। নিহতের পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশটি তাদের হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় একটি ইউডি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
রেলওয়ে পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা মাঝেমধ্যেই দেশের বিভিন্ন স্থানে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহতের এরকম চিত্র দেখতে পাই। আসলে দুর্ঘটনা এড়াতে, নিজেদের সুরক্ষায় কিন্তু নিজেদেরকেই সচেতন হতে হবে। অনেক সময় দেখা যায় মোবাইলে কথা বলতে বলতে রেললাইন ক্রস করছেন, কানে হেডফোন লাগিয়ে রেল লাইন ক্রস করছেন, আবার ট্রেনের সিগন্যাল হয়েছে জেনেও এরকম ব্যারিকেড ভেঙে রেললাইন ক্রস করার চেষ্টা করেন, এগুলোই তো অসচেতনতা। এগুলো বিষয়ে প্রতিটি মানুষেরই খেয়াল রাখতে হবে নিজেদের জীবন রক্ষার্থেই।(ঢাকা টাইমস/২৭জুলাই/এসএ)

মন্তব্য করুন