ইয়েমেন উপকূলে শরণার্থীবোঝাই নৌকাডুবি: ৫৪ লাশ উদ্ধার, নিখোঁজ অনেক

ইয়েমেন উপকূলে শরণার্থীবোঝাই একটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৫৪ জন নিহত হয়েছেন। নিখোঁজ রয়েছেন আরও অনেকে। শনিবার (২ আগস্ট) সন্ধ্যায় দেশটির আবিয়ান প্রদেশের শাকরা উপকূলে ভয়াবহ এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আবিয়ান প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক আবদুল কাদের বাজামিল জানান, উদ্ধারকারী দল এখন পর্যন্ত সমুদ্রসৈকত ও আশপাশের এলাকা থেকে ৫৪ জনের লাশ উদ্ধার করেছে। জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে আরও ১২ জনকে, যাদের স্থানীয় শাকরা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
প্রাথমিক তথ্যে জানা যায়, আরব সাগরের উত্তাল ঢেউ আর ঝোড়ো হাওয়ার কবলে পড়ে শরণার্থী ও অভিবাসনপ্রত্যাশীবোঝাই ওই নৌকাটি ডুবে যায়। এতে প্রায় ১৫০ জন আরোহী ছিলেন, যাদের বেশিরভাগই ইথিওপিয়ার নাগরিক।
বাজামিল জানান, শহরের নিকটবর্তী একটি এলাকায় নিহতদের দাফনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। উদ্ধার অভিযান এখনও অব্যাহত রয়েছে, যদিও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে তাতে ব্যাঘাত ঘটছে।
জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম) জানিয়েছে, আফ্রিকার সংঘাতপূর্ণ দেশ—বিশেষ করে সোমালিয়া ও ইথিওপিয়া থেকে পালিয়ে অনেকেই আশ্রয়ের সন্ধানে ইয়েমেন হয়ে উপসাগরীয় দেশগুলোর দিকে পাড়ি জমাতে চান। এই নৌপথকে বিশ্বের অন্যতম ‘ব্যস্ত ও বিপজ্জনক’ অভিবাসন রুট হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
লোহিত সাগর ও এডেন উপসাগর হয়ে ইয়েমেন যাওয়ার পথে বিপজ্জনক ও জনাকীর্ণ নৌকায় পাচারকারীদের মাধ্যমে যাত্রা করে থাকেন এসব মানুষ। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এই ভ্রমণ প্রাণঘাতী হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে ইয়েমেনে গৃহযুদ্ধ শুরুর পর দেশটি থেকে পালাতে শুরু করেন হাজারো মানুষ। ২০২২ সালে হুথি বিদ্রোহী ও সরকারি বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধবিরতির পর কিছুটা সহিংসতা কমলেও মানবিক সংকটের অবসান হয়নি।
এই ঘটনার পর মানবাধিকার সংগঠনগুলো ঝুঁকিপূর্ণ অভিবাসন পথগুলো বন্ধ করতে ও শরণার্থীদের নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা নিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/৪ আগস্ট/আরজেড)

মন্তব্য করুন