বৃষ্টি-বজ্রপাতে ভারতের তিন রাজ্যে ৪৭ জনের মৃত্যু

ভারতের তিন রাজ্য- বিহার, উত্তরপ্রদেশ এবং ঝাড়খণ্ডে এক দিনে ব্যাপক বৃষ্টি ও বজ্রপাতে এখন পর্যন্ত অন্তত ৪৭ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বিহারের নালন্দা জেলাতেই ১৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অনেকে। স্থানীয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আনন্দবাজারের প্রতিবেদনে বলা হয়, বৃহস্পতিবারের দুর্যোগে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বিহার। রাজ্যটিতে শিলাবৃষ্টি ও বজ্রপাতে ২৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত জেলাগুলোর মধ্যে নালন্দা ছাড়াও রয়েছে সিওয়ান, কাটিহার, দ্বারভাঙা, বেগুসরাই, ভাগলপুর এবং জেহানাবাদ।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার মৃতদের প্রতি পরিবারকে চার লাখ রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা দিয়েছেন।
এদিকে বিহারের বিরোধী দলনেতা তথা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদবের দাবি, দুর্যোগে কেবল সে রাজ্যেই অন্তত ৫০ জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের পরিবারের পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদেরও ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি তুলেছেন তিনি। আরেক রাজ্য উত্তরপ্রদেশের ১৫টি জেলায় ঝড়বৃষ্টি ও বজ্রপাতের জেরে অন্তত ২২ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজ্যের ফতেপুর, আজমগড়, ফিরোজ়াবাদ, কানপুর, কনৌজ, অমেঠী, গোন্ডা, গাজিপুর এবং উন্নাও।
উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ মৃতদের পরিবারকে চার লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা করেছেন। এছাড়াও দুর্যোগে চাষের জমির কতটা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, প্রশাসনকে তা জরিপ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
অন্যদিকে ঝাড়খণ্ডে বজ্রপাতে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। মৃতদের মধ্যে তিন জনই প্রবীণ নাগরিক। সে রাজ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে ডালটনগঞ্জ (৩১.৮ মিলিমিটার)-এ। রাজধানী রাঁচীতে হয়েছে ৭.৬ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত। ধানবাদ, কোডারমা, হাজারিবাগের বহু জায়গায় গাছ উপড়ে যান চলাচল ব্যহত হয়। শিলাবৃষ্টির কারণে ফসলেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তর (আইএমডি) জানিয়েছে, আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ, বিহার, আসাম এবং অরুণাচল প্রদেশে। ঝোড়ো হাওয়া বইতে পারে বিহার এবং ঝাড়খণ্ডে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে দক্ষিণ ভারতের বিস্তীর্ণ অংশে। এছাড়া ধুলোঝড় বইতে পারে রাজস্থানে।
(ঢাকাটাইমস/১১এপ্রিল/এমআর)

মন্তব্য করুন