সন্ত্রাসবিরোধী আইনে আনসারউল্লাহ গুরুর বিচার শুরু

জঙ্গি তৎপরতা, সরকার ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে করা মামলায় উগ্রবাদী সংগঠন আনসারউল্লা বাংলাটিমের প্রধান মুফতি জসিম উদ্দিন রাহমানীর বিচার শুরুর আদেশ দিয়েছে আদালত। ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় করা ওই মামলার বিচার শুরুর আদেশ দিয়ে রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।
অভিযোগ গঠনের শুনানিকালে কারাগারে থাকা মুফতি রহমানী, সাইফুল ইসলাম ওরফে বাবু ওরফে নাইম এবং আবু হানিফকে আদালতে হাজির করা হয়।
মামলার আসামি আলী আহাদ জামিনে এবং অপর ছয় জন জাহিদুর রহমান, কাজী রেজোয়ান, কাজী নাঈমুল হাসান, জুম্মন, পিয়াস ওরফে আব্দুল্লাহ ও আমিনুল পলাতক। পলাতকদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
জঙ্গি তৎপরতা, সরকার ও সার্বভৌমত্বের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে জসিম উদ্দিন রাহমানীসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে ২০১৩ সালের ২৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানায় এই মামলা করে পুলিশ। ২০১৪ সালের ৮ সেপ্টেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক আবদুল লতিফ শেখ।
আদালত সূত্র জানায়, ২০১৪ সালের ২৩ নভেম্বর মহানগর দায়রা জজ আদালত থেকে সরকারের অনুমোদনের জন্য চিঠি পাঠানো হয়। রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী তাপস কুমার পাল জানান, আদালতে অভিযোগপত্র জমা পড়লেও মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন না আসায় দীর্ঘদিন বিচার স্থগিত ছিল। প্রায় তিন বছর পর গত ২৬ জুলাই অনুমোদন দেয় মন্ত্রণালয়।
২০১৩ সালের ১২ আগস্ট বরগুনা থেকে গ্রেপ্তার হন জসিম উদ্দিন রাহমানী। এরপর থেকেই তিনি কারাগারে আছেন। ব্লগার রাজীব হত্যা মামলায় পাঁচ বছরের সাজা হয়েছে এরই মধ্যে।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, রাজধানীর মোহাম্মদপুরের একটি মাদ্রাসার শিক্ষক ও মসজিদের খতিব ছিলেন জসীমউদ্দীন রাহমানী। তার উগ্রবাদী বক্তব্যে আকৃষ্ট হয়ে বেসরকারি বিশ^বিদ্যালয়ের বেশ কিছু ছাত্র এবং মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা উদ্বুদ্ধ হয়ে যোগ দেয় তার সংগঠন আনসারউল্লাহ বাংলাটিম। কথিত ধর্মদ্রোহীদেরকে হত্যা করাই ছিল তাদের অন্যতম লক্ষ্য।
মানবতাবিরোধী অপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে গড়ে উঠা গণজাগরণ মঞ্চের কর্মী রাজীবকে হত্যার ঘটনায় আনসারউল্লাহ বাংলাটিমের নাম সামনে আসে। রাজধানীর পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন এলাকাতেও তাদের তৎপরতা ছিল। তবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানে অনেকেই ধরা পড়েছেন। তবে জঙ্গি সংগঠনটির তৎপরতা এখনও পুরোপুরি বন্ধ করা যায়নি। আর কারাগারে থেকেও জসীমউদ্দীন রাহমানী নানাভাবে তার অনুসারীদের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রেখেছেন বলে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়েছে।
ঢাকাটাইমস/২৭নভেম্বর/ডব্লিউবি

মন্তব্য করুন