চাঁদপুরে দুই দিনব্যাপী পিঠা উৎসব

‘এসো মিলে আজ হাসি খেলা, পিঠা উৎসব আর পৌষ মেলা।’ এই স্লোগান নিয়ে কচুয়ায় দুই দিনব্যাপী ব্যতিক্রমধর্মী পিঠা উৎসবের আয়োজন করা হয়েছে।

শুক্রবার কচুয়া শহীদ স্মৃতি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উৎসবের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির।

উৎসবে ৪৮টি স্টলে নানা ধরনের পিঠা স্থান পেয়েছে। এসবের মধ্যে রয়েছে পুলি, ভাঁপা, পাটিসাপ্টা, জিরাপিঠা, ডালের পিঠা, জামাই পিঠাসহ শতাধিক পিঠা। এসময় উৎসবে আসা লোকজন এসব পিঠার স্বাদ নিয়ে দেখেন। শুক্রবার বিকালে পিঠা উৎসবে আসেন ছোট-বড় নানা বয়সী মানুষ। যা আর কখনো কচুয়া উপজেলার কোনো উৎসবে দেখা যায়নি।

এই উপলক্ষে সকালে উপজেলা পরিষদ থেকে বর্ণাঢ্য একটি র‌্যালি বের হয়। পরে এটি উৎসব মাঠে এসে শেষ হয়।

আয়োজক উপজেলা নির্বাাহী কর্মকর্তা মুহম্মদ আশরাফ হোসেন জানান, গ্রাম বাংলার চিরচেনা ঐতিহ্য ধরে রাখতেই এই পিঠা উৎসবের লক্ষ্য। উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শাহজাহান শিশির জানান, এমন ব্যতিক্রমধর্মী আয়োজনে তারা পিঠা তৈরিতে নতন মাত্রা পেয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, এখন থেকে প্রতি শীত মৌসুমে এমন আয়োজন করা হবে।

কচুয়া প্রেসক্লাব সভাপতি প্রিয়তোষ পোদ্দার জানান, এই প্রথম কচুয়ায় এমন বিশাল আয়োজনে পিঠা উৎসব হলো। এতে আবহমান বাংলার ঐতিহ্য ফুটে উঠলো।

কচুয়া মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক কণিকা পোদ্দার জানান, তাদের স্টলে ৮২ ধরনের পিঠা উপস্থাপন করা হয়।

এসব পিঠা তিনিসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক তৈরি করেন। পিঠা তৈরিতে দেশি উপকরণ ব্যব্যহার করা হয়েছে।

কচুয়া উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এ পিঠা উৎসবে সেরা স্টলগুলোকে পুরস্কৃত করা হবে। উৎসবে কচুয়ার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও সরকারি কয়েকটি সংস্থা অংশ নেয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩জানুয়ারি/প্রতিনিধি/ইএস)