কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে ‘মোরা’

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ৩০ মে ২০১৭, ১২:০৭ | প্রকাশিত : ৩০ মে ২০১৭, ১০:৫১

উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা' কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করছে। সকাল ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড়টি কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর আগে সকালে এটি কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হানে। পরে ঘূর্ণিঝড়টি উত্তর চট্টগ্রামের দিকে অগ্রসর হয়।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মিরাজ হোসেন জানান, ঘণ্টায় ৮০ থেকে ১১০ কিলোমিটার বাতাসের গতিবেগ নিয়ে ঘূর্ণিঝড়টি এখন চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করছে।

এর আগে সকালে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক শামসুদ্দিন আহমেদ জানিয়েছিলেন সকাল ১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা’ বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে। কক্সবাজারের টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া দিয়ে এটি অতিক্রম করবে। তবে ঝড়ের তীব্রতা না বাড়লে এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হতে পারে।

সকালের ব্রিফিংয়ে শামসুদ্দিন বলেছিলেন, ‘মোরা’র প্রভাবে ভোরে টেকনাফে বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ১৩৫ কিলোমিটার ও সেন্টমার্টিনে ১১৪ কিলোমিটার। তবে এ ঘূর্ণিঝড়টি বিচ্ছিন্নভাবে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন গতিবেগে আঘাত হানছে। মোরা উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ধীরে ধীরে নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এছাড়া সকাল সাড়ে আটটায় ১৬ নং আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে বলা হয়েছে ঘণ্টায় ১১৭ কিলোমিটার বেগে ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে ঘূর্ণিঝড় 'মোরা'। এটি বাংলাদেশ উপকূল থেকে ভারতের মনিপুরের দিকে অগ্রসর হবে।

ভোরে উপকূলে আঘাত হানান ঘূর্ণিঝড় ‘মোরা,র প্রভাবে কক্সবাজারের টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন সমুদ্র উপকূলে প্রচণ্ড বেগে বাতাস বইতে শুরু করে। সঙ্গে হচ্ছে হালকা বৃষ্টি। ঝড়ে সেন্টমার্টিনে গাছপালা ও দুই শতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। উপকূলবাসীদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে জানানো হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর বিক্ষুব্ধ রয়েছে। চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরসমূহকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে। এছাড়া উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সাগর উত্তাল থাকায় সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/৩০মে/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :