ট্রাম্পের ক্ষমতায় বেড়ি পড়ছে কাল
ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক মাস আগেই সিনেটে পাশ হয় ‘ডিস্টেবিলাইজিং অ্যাক্টিভিটিজ অ্যাক্ট’। কিন্তু হাউস অব রিপ্রেডেন্টেটিভসে আটকে থাকা সেই বিলে রিপাবলিকানরা চান উত্তর কোরিয়ার উপরে নিষেধাজ্ঞাও জুড়ে দিতে। এবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে রাশিয়ার নামও। তারা রাশিয়াকে শাস্তি দেয়ার কথা ভাবছে।
আর মাধ্যমে এক রকম বেড়ি পড়ানো হচ্ছে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্ষমতায়। তিনি এখন তাতে ভেটো দিলে সেটি রাশিযার সঙ্গে তার গোপন সম্পর্ককে সামনে নিয়ে আসবে।
হাউসের নেতা কেভিন ম্যাকার্থির দপ্তর সূত্রে খবর, মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত এক গুচ্ছ বিল-এ ভোটদান হবে। সংশ্লিষ্ট দেশগুলো যে যে বিপজ্জনক পদক্ষেপ করেছে, এই বিলগুলোর মাধ্যমে তার দায় চাপানো হচ্ছে তাদের ওপর।
একই সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রুশ হস্তক্ষেপ এবং প্রতিবেশী রাষ্ট্রের প্রতি রুশ আগ্রাসনের অভিযোগে পুতিনের দেশকে এক রকম ‘শাস্তি’ দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন কংগ্রেস সদস্যদের একাংশ। শনিবার এমন একটি সিদ্ধান্তে পৌঁছেছে মার্কিন কংগ্রেস।
এই সিদ্ধান্তের জেরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ক্ষমতায় কিছুটা হলেও রাশ টানা হলো, মনে করছেন কূটনীতিকরা। মস্কোর উপর থেকে কোনও নিষেধ তুলতে গেলে এখন যথেষ্ট বেগ পেতে হবে ট্রাম্পকে।
প্রস্তাবিত বিল অনুযায়ী, দায়িত্ব নেওয়ার পরে মাত্র ছয় মাসের মাথায় কোনো নিষেধাজ্ঞা তোলার ক্ষেত্রে ট্রাম্পের ক্ষমতায় এক রকম ‘বেড়ি’ পরাল মার্কিন কংগ্রেস। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, এখন এই বিল-এ ভেটো দিলেও বড় জ্বালা ট্রাম্পের। কারণ তাতেও জল্পনা বাড়বে যে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশেই তিনি এমনটা করছেন। আর তার প্রশাসন এত দিন যে নিষেধাজ্ঞার বিরোধিতা করেছে, তার পরিবর্তে কংগ্রেসের সিদ্ধান্তে সায় দিলেও ট্রাম্পের মুখ পুড়বে।
সেনেটরদের মতে, এই বিলের মাধ্যমে শুধু মার্কিন নির্বাচনে হস্তক্ষেপের জন্য রাশিয়াকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে না। ক্রিমিয়াকে যেভাবে ‘জবরদখল’-এর পথে হেঁটেছে পুতিন প্রশাসন, মাথায় রাখা হয়েছে সে কথাও। পূর্ব ইউক্রেনে সামরিক আগ্রাসন এবং মানবাধিকার লঙ্ঘন— মার্কিন কংগ্রেসের নজরে ছিল ওই বিষয়গুলোও। হোয়াইট হাউস মার্কিন কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে এখনও প্রকাশ্যে কিছু বলেনি।
ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/মোআ