ক্রেতা-বিক্রেতা বান্ধব মোহাম্মাদপুরের কুরবানির হাট

কাজী রফিকুল ইসলাম, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ৩০ আগস্ট ২০১৭, ১৩:১১

জমে উঠেছে রাজধানীর মোহাম্মাদপুরের কুরবানি পশুর হাট। দেশের নানা স্থান থেকে ব্যাপারীরা এসেছেন এ হাটে। হাটটি খুব সুপরিচিত না হলেও সেবার উপর নির্ভর করে গত কয়েক বছরে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে এ হাটটি। তাই আসছেন ক্রেতারা। তবে, রয়েছে অতিরিক্ত দাম হাকানোর অভিযোগ। রাজধানীর অন্যান্য হাটের তুলনায় মোহাম্মাদপুরের বসিলা রোডের হাটটি একটু বেশিই জমজমাট। ক্রেতা-বিক্রেতা বান্ধব এহাটে রয়েছে বিভিন্ন খামার, ছোট বড় ব্যাপারী ও মৌসুমি ব্যাপারীদের গরু।

হাট এলাকা ও এর আশপাশে জ্যামজট এড়াতে বাড়তি ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে হাটের ইজারাদার। বাড়তি কোনো খরচ গুণতে হয়না বলে গাবতলি এড়িয়ে এখানে এসেছে পাবনা থেকে আগত কালু ব্যাপারী। সাতাশটি গরু নিয়ে এসেছেন তিনি। ঢাকাটাইমসকে তিনি জানান, "গাবতলিতে গরু বানতে খুঁটি প্রতি দুই হাজার থেকে পঁচিশ’শ টাকা লাগে। এইহানে এক টাকাও লাগে না। কোনো খরচ লাগে না।" ঝামেলা এড়াতে হাসিল ঘর রাখা হয়েছে সাতটি। রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত জনবল। বেড়িবাঁধ তিনরাস্তার মোড়ে রয়েছে পুলিশের একটি কন্ট্রোল রুম। যানজট ও ঝামেলা নিরসনে সেখানে কাজ করছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ। পুলিশের পাশাপাশি হাট ইজারাদারের পক্ষ থেকে রয়েছে ভলান্টিয়ার। সাবেক সঙ্গীতশিল্পী ফয়সাল খান একঝাঁক তরুণদের সাথে নিয়ে গরু কিনতে এসেছেন।

ঢাকাটাইমসের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, "এখন আর ঈদ আগের মত না। নতুনদের দিয়ে অনেক কিছু করাতে হবে। ছোটরাই গরু দেখবে, পছন্দ করবে। ওরাই তো ভবিষ্যৎ। ওদের একটু সুযোগ না দিলে হবে না।" দাম নিয়ে অভিযোগ আছে এহাটের ক্রেতাদের। কোনো কোনো গরু ব্যবসায়ী মাত্রাতিরিক্ত দাম হাকাচ্ছেন। বাধ্য হয়ে ফিরে যাচ্ছেন অনেক ক্রেতা।

ধানমন্ডি থেকে আগত এক দম্পতির অভিযোগ, দামের লাগাম নেই। দু-একদিন পর অধিক ক্রেতার আশায় ব্যাপারীরা দামের লাগাম শক্ত রাখছে। একটু আক্ষেপ নিয়েই এদম্পতি ঢাকাটাইমসকে জানান, "কেমন একঘেঁয়েমি আচরণ। দেড় মণ মাংস হবে না। সে গরু চাচ্ছে ৭৫ হাজার। এতটা পার্থক্য হলে তো হচ্ছে না। অনেকক্ষণ ধরে ঘুরছি। কিন্তু কিনতে পারছি। দামটা স্থির হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করি!"

কিছু কিছু ব্যাপারীর মুখে ছিল ভিন্ন সুর। চাহিদা অনুপাতে দাম না পেলে গরু বিক্রি করবেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দেন তারা। নূর-আলম ও শফিকুল নামের দুই গরু বিক্রেতা জানান, "গাড়ি রেডি করে থুই দিছি। দাম না পালি সোজা বাড়ি চলি যাবো। একটা গরুও ব্যাচপোনানি।" ভারতীয় গরুর অনুপ্রবেশকে কেন্দ্র করে সরকারের সমালোচনা করলেন কিছু ব্যবসায়ী।

আতাইখোলা থেকে আগত গরু ব্যবসায়ী ঢাকাটাইমসকে বলেন, "এমনেই কৃষক শ্যাস। তার ওপর যুদি বর্ডার খোলা রাখে তালি তো আমরা মরি যাবো। সব দোষ আমরা সরকারোক দেব। দ্যাশেই তো গরুর অভাব নাই। বিদেশি গরু আনা লাগবি ক্যা?"

ঢাকাটাইমস/২৯ আগষ্ট/ কারই/কেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :