আমানতে আবগারি শুল্ক না বাড়ানোর ইঙ্গিত অর্থ প্রতিমন্ত্রীর

​নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ জুন ২০১৭, ২২:১৫ | প্রকাশিত : ০৩ জুন ২০১৭, ২০:৪৪
ফাইল ছবি

২০১৭-১৮ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে ব্যাংক আমানতের উপর আবগারি শুল্ক না বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান। তিনি বলেছেন, ‘ব্যাংকের আবগারি শুল্ক বাড়ানোর বিষয়ে যে হারে সমালোচনা হচ্ছে তাতে সরকার প্রস্তাবিত আবগারি শুল্ক থেকে পেছনে ফিরবে। জাতীয় সংসদে এ নিয়ে অবশ্যই আলোচনা হবে।’

শনিবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (এমসিসিআই) আয়োজিত প্রস্তাবিত বাজেট পরবর্তী এক আলোচনায় তিনি এই ইঙ্গিত দেন।

গত বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে আগামী অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এতে আগামী অর্থবছরে ব্যাংক অ্যাকাউন্টে আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়ে অর্থমন্ত্রী বলেন, কেউ ব্যাংকে এক লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে কোনো আবগারি শুল্ক কাটা হবে না। তবে বছরের যে কোনো সময়ে একাউন্টে ১ লাখ টাকা থেকে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত রাখলে তার ওপর ৮০০ টাকা আবগারি শুল্ক কাটা হবে। যা আগে ছিল ৫০০ টাকা।

বাজেট বক্তৃতায় এ ঘোষণা দেয়ার পর অনেক গ্রাহক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে নানা মহলে শুরু হয় সমালোচনা। অনেকে এটা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।

তবে এমসিসিআইর আলোচনায় অংশ নিয়ে অর্থ প্রতিমন্ত্রী ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, ব্যাংকের আমানতের ওপর আগে যে শুল্ক ধরা হয়েছিল সেটাই বহাল রাখা হতে পারে।

অর্থ প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে এক লাখ টাকা পর্যন্ত শুল্ক জিরো শতাংশ করা হয়েছে। ব্যাংকে যাদের এক লাখ টাকার ওপর আমানত আছে শুধুমাত্র তাদের আমানতের ওপরই ৩০০ টাকা আবগারি শুল্ক বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। অথচ ব্যাংকের যাদের আমানত আছে তাদের ৮০ শতাংশেরই আমানত এক লাখ টাকার নিচে। এ হিসাবে তারা শুল্ক থেকে উল্টো রক্ষা পেত।

তিনি বলেন, তারপরও যেভাবে আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে তাতে বিষয়টি নিয়ে নতুনভাবে চিন্তা করতে হবে। জাতীয় সংসদে নিশ্চয়ই এটা নিয়ে আলোচনা হবে। সেখানে বিষয়টি নিয়ে আমি ব্যক্তিগতভাবে কথা বলব।

এমসিসিআই সভাপতি রোকেয়া আফজাল রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর মোহাম্মদ ফরাসউদ্দীন। তিনি বলেন, ব্যাংকের আবগারি শুল্ক কোন বিবেচনায় বাড়ানো হলো তা বোধগম্য নয়। এখানে সুপ্ত ও গুপ্ত জিনিসটা সামনে আনা হয়েছে। তবে এই খাত থেকে খুব বেশি টাকা আসে তা কিন্তু না। বিষয়টি নিয়ে বেশি সমালোচিত হওয়ার আগেই প্রস্তাবিত শুল্ক প্রত্যাহার করা মঙ্গলজনক হবে বলে মনে করেন তিনি।

এ সময় ১৫ শতাংশ ভ্যাট বাস্তবসম্মত উল্লেখ করে তিনি আদায়ের পদ্ধতিকে আরও উন্নত করার পরামর্শ দেন। অনুষ্ঠানে অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুরসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকাটাইমস/০৩জুন/বিইউ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :