ইবিতে ‘নিয়োগ বাণিজ্য’, তদন্ত কমিটি নিয়ে বিতর্ক

ইবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৬ জুলাই ২০১৮, ২০:২৪
অ- অ+

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) নিয়োগ বাণিজ্যের অডিও ফাঁসের ঘটনায় গঠিত তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি নিয়ে সর্বমহলে প্রশ্ন উঠেছে। কমিটির তিন জনই অভিযুক্ত শিক্ষকদের ঘনিষ্ঠজন বলে জানা গেছে।

এছাড়াও নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে জড়িত ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেনকে তদন্তের বাইরে রাখা হয়েছে। ফলে তদন্ত কমিটির স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক।

সূত্র মতে, গত ১৪ জুলাই শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৪১তম সিন্ডিকেটে ১০টি বিভাগে ৩৭ জন শিক্ষক নিয়োগের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। পরে প্রার্থী নিয়োগ নিয়ে অডিও রেকর্ড ফাঁস হয়ে যায়। ফাঁস হওয়া অডিও মতে, বিশ্ববিদ্যালয়ের জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমান হল প্রভোস্ট ও ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ এবং শিক্ষক-ছাত্র কেন্দ্রীয় মিলনায়তনের পরিচালক ও বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. বাকী বিল্লাহর সম্পৃক্ততা পাওয়া যায়। ওই দুইজন শিক্ষক এক প্রার্থীকে শিক্ষক পদে চাকরি দেয়ার নামে ২০ লাখ টাকা নেন। ওই প্রার্থীকে টাকা লেনদেনের জন্য আজাদ ও বিকুলের সাথে যোগাযোগের নির্দেশ দেন ইতিহাস বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলে জানা গেছে।

অডিও ফাঁসের ঘটনা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে রবিবার বিকালে তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ। কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমানকে আহ্বায়ক করা হয়েছে। ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক রেজওয়ানুল ইসলাম এবং ইংরেজি বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. এ.এইচ.এম আক্তারুল ইসলামকে সদস্য করা হয়েছে। তবে জাহাঙ্গীর হোসেনের নিয়োগ বাণিজ্যের সাথে সম্পৃক্ততা থাকলেও কৌশলে তাকে তদন্তের বাইরে রেখেছে প্রশাসন।

এদিকে অধ্যাপক ড. আজাদ ও অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম একই বিভাগের হওয়ায় তাদের মধ্যে ব্যক্তিগত ঘনিষ্টতা রয়েছে। এছাড়াও অভিযুক্ত দুই শিক্ষক এবং অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক ড. আক্তারুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে একই গ্রুপের রাজনীতি করেন। এছাড়াও অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান ও অধ্যাপক আজাদ কুষ্টিয়া শহরে একই ফ্লাটে বসবাস করেন বলে জানা গেছে।

এদিকে সোমবার বিকালে অভিযুক্ত ওই দুই শিক্ষককে লিখিত পত্রের মাধ্যমে পদ থেকে অব্যহতি দিয়েছে প্রশাসন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, একই বিভাগের, একই গ্রুপের রাজনীতির লোক দিয়ে তদন্ত করলে কতটা স্বচ্ছ হবে- তা নিয়ে আমরা সন্দিহান। এছাড়াও জালিয়াতি, দুর্নীতির ক্ষেত্রে প্রশাসনের দায়িত্বশীল হওয়া উচিৎ ছিল।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী বলেন, আমি তদন্ত কমিটিকে বিশ্বাস করি। আশা করি- তারা নিরপেক্ষতার জায়গা থেকে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবে। আর এটা চূড়ান্ত তদন্ত কমিটি নয়। প্রয়োজনে সংযোজন বিয়োজন হতে পারে।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুলাই/প্রতিনিধি/এলএ)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
রাজনীতিতে অভিভাবক দল হিসেবে আমরা বারবার ধৈর্য ধরেছি: অধ্যক্ষ সেলিম ভুইয়া
এনবিআরের আরও ৬ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বরখাস্ত
প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের মানসম্মত শিক্ষা নিশ্চিতে শিক্ষা উপদেষ্টার আশ্বাস
তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তানের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও একজন গ্রেপ্তার
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা