উবারের গাড়িচালক হত্যায় তিন শিক্ষার্থী আটক

ভৈরব (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ২০:৫৩

ঢাকার উবারের গাড়িচালক হেলাল উদ্দিন হত্যার ঘটনায় বুধবার তিনজনকে আটক করেছে র‌্যাব।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় ভৈরব র‌্যাব এক সংবাদ সন্মেলনে এ তথ্য জানায়।

আটকরা হলেন- ঢাকার তেজঁগাও কলেজের এইসএসসির ছাত্র মো. শহীদ আফ্রিদী, একই কলেজের আবু কাওসার শান্ত ও স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্র হাফিজুর রহমান শুভ। আটকদের সবার বাসা ঢাকার তেজঁগাও এলাকায়।

সংবাদ সন্মেলনে জানানো হয়, চাঁদপুর জেলার কচুয়া উপজোলার দুঘর গ্রামের বাসিন্দা হেলাল উদ্দিন ঢাকায় রেন্টে কারের গাড়ি চালাত। গত ২৮ সেপ্টেম্বর হাফিজুর রহমান শুভ তার খালার বাড়ি হবিগঞ্জে যাওয়ার কথা বলে গাড়িটি ভাড়া করে। এর আগে তার দুই বন্ধু আফ্রিদী ও শান্তকে নিয়ে সে পরিকল্পনা করে তারা মূলধনের টাকা যোগার করতে গাড়ি ছিনতাই করবে। ঘটনার দিন রাতে হেলালের গাড়িটি ভাড়া করে ঢাকা থেকে গভীর রাত ২টায় হবিগঞ্জ পৌঁছে তারা তিন বন্ধু। এসময় তারা চা খাওয়ার কথা বলে চালককে রাস্তার পাশের একটি দোকানে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তাকে নিরিবিলি জায়গায় নিয়ে প্রথমে শান্ত তাকে পেছন দিক দিয়ে মাথায় রড দিয়ে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যায়। এরপর শুভ তাকে গলায় ছুরি দিয়ে জবাই করে হত্যা করে। পরে হেলালের লাশ গাড়িতে ভরে রাতেই ঢাকায় রাওনা হয় তারা।

প্রসঙ্গত, শুভ আগে থেকেই গাড়ি চালানো জানত। তার বাবাও গাড়িচালক ছিল বলে র‌্যাব জানায়। তারপর তারা গাড়ি নিয়ে ঢাকা যাওয়ার পথে ব্রাহ্মণবাড়িয়া এলাকার ঢাকা- সিলেট মহাসড়কের পাশে লাশ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়। পরদিন ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ তার লাশটি অজ্ঞাত হিসেবে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এরপর বিভিন্ন পত্রিকায় এখবর প্রকাশ হলে নিহতের স্ত্রী খবর দেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়া থানায় এসে মর্গে তার স্বামীর লাশ শনাক্ত করে। তারপর মামলা করেন তিনি। পত্রিকার খবরের সূত্র ধরে ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের সদস্যরা রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে। র‌্যাব সদস্যরা হত্যার ক্লো উদঘাটন করতে দীর্ঘ ১৯ দিন চেষ্টা চালিয়ে মোবাইলসহ নানা প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন অপরাধীকে বুধবার ঢাকার তেজঁগাও তাদের বাসা থেকে আটক করে। পরে রাতেই তিনজনকে ভৈরব ক্যাম্পে নিয়ে আসে। আটকরা র‌্যাবের কাছে ঘটনার বিবরণ ও হত্যার কথা প্রাথমিকভাবে স্বীকার করেছে বলে জানায় র‌্যাব।

ভৈরব র‌্যাব ক্যাম্পের কমান্ডার রফিউদ্দিন মোহাম্মদ যুবায়ের জানান, এই হত্যাটি ছিল ক্লোবিহীন। হত্যাটির প্রথমে প্রত্যক্ষদর্শী বা কোন সাক্ষী ছিল না। মোবাইলের ভুয়া সিম ও বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে দীর্ঘ চেষ্টার পর হত্যার ঘটনার রহস্য উন্মোচন করা হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৮অক্টোবর/প্রতিনিধি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

কোম্পানীগঞ্জে চেয়ারম্যান পদে চার প্রার্থী, আলোচনায় ওবায়দুল কাদেরের ভাই

জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহে চার ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন আলফাডাঙ্গা আদর্শ কলেজের

ডোমারে বিএনপির ভোট বর্জনের ডাক 

ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে দুই কমিউটার ট্রেন উদ্বোধন

চুয়াডাঙ্গায় দশ কেজি গাঁজাসহ দুই  মাদককারবারি গ্রেপ্তার

সিদ্ধিরগঞ্জে বস্তাবন্দি স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এখনো মামলা হয়নি

মফস্বল সাংবাদিকেদের ওয়েজ বোর্ডের আওতার আনার দাবি

আ.লীগ বিভ্রান্তিকর কথা বলে নিজেদের ভেতরকার অস্থিরতা আড়াল করছে: প্রিন্স

‘ওরাল ক্যান্সার’ সম্পর্কে সচেতন হওয়ার পরামর্শ মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রীর

‘মনে হয় আত্মহত্যা করি, তাতে যদি বেঁচে যাই!’

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :