বাকৃবিতে শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিত

বাকৃবি প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ১৯:৫৮

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) শিক্ষক সমিতির নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার বাকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আমিরুল ইসলামের স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

এদিকে নির্বাচন স্থগিত করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ সমর্থিত নীল দল।

সংস্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ বছর ধরে বাকৃবি শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে মূল দুই বিপক্ষ দল হিসেবে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন ‘গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম’ এবং বিএনপি ও জাময়াতপন্থী সমর্থিত শিক্ষকদের সংগঠন ‘সোনালী দল’ অংশগ্রহণ করছে। গত ২০১৮ সালের শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকরা সকল পদে নিরুঙ্কুশ জয় পায়।

এদিকে আগামী ১৬ জানুয়ারি বাকৃবি শিক্ষক সমিতির ২০১৯ সালের কমিটি গঠনের জন্য নির্বাচনের তারিখ ধার্য করে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে শিক্ষক সমিতি। কিন্তু গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি ভোট কেন্দ্রে সোনালী দলের শিক্ষকদের হেনস্তা করায় এবং এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতি কোন লিখিত বিবৃতি প্রকাশ না করায় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেয় ‘সোনালী দল’ । নির্বাচন স্থগিত করায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশের সমর্থিত নীল দল।

এদিকে বিএনপিপন্থী শিক্ষকদের পক্ষ থেকে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণার পর আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের মধ্যে বিভক্তি দেখা গেছে। এবছর গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের পাশাপাশি ‘নীল দল’ নামে আলাদা আরও একটি প্যানেল করে আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি অংশ। নির্বাচন স্থগিত করায় শুক্রবার সকালে নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নীল দল।

সর্বশেষ ২০০৫ সালে আলাদা প্যানেল করে শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছিল নীল দল।

নির্বাচন স্থগিতের বিষয়ে শিক্ষক সমিতির সভাপতি এবং নির্বাচনের প্রিজাইডিং অফিসার অধ্যাপক ড. এ.এস. মাহফুজুল বারি বলেন, আমরা সকল দলের শিক্ষকদের অংশগ্রহণের মধ্যদিয়ে একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্যই নির্বাচন স্থগিত করেছি।

নিজেদের সত্যিকারের আওয়ামী লীগ দাবি করে নীল দলের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামে আওয়ামীপন্থী, জাসদ, বাসদ, জাতীয় পার্টি ও বিভিন্ন সময়ে বিএনপিপন্থী শিক্ষকরা রূপ বদল করে আশ্রয় লাভ করেছেন। বর্তমানে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম এখন সম্পূর্ণভাবে কমিনিস্টদের দখলে চলে গেছে। অন্যদিকে নীল দল শুধুমাত্র আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একটি সংগঠন।

এদিকে সোনালী দলের নির্বাচন বর্জনের পরে দীর্ঘদিন সুপ্ত থাকা আওয়ামীপন্থী শিক্ষকদের একাংশ নীল দল আলাদা প্যানেল করায় গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরামের সভাপতি অধ্যাপক ড. লুৎফুল হাসান বলেন, ঠিক কি কারণে নীল দলের আবির্ভাব হয়েছে আমার জানা নেই। তবে গণতান্ত্রিক শিক্ষক ফোরাম প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই আওয়ামীপন্থী এবং স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী শিক্ষকদের সংগঠন।

(ঢাকাটাইমস/১১জানুয়ারি/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

শিক্ষা বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিক্ষা এর সর্বশেষ

যে কারণে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় ভলিবল টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে না নোবিপ্রবি

ব্যতিক্রমী উদ্যোগ: শিক্ষার্থীদের জন্য শরবতের আয়োজন ঢাবি অধ্যাপকের

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মেজবাহ্ উদ্দিন

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান কুবি শিক্ষার্থীদের

পরবর্তী নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত বন্ধ কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতি বছর ফিলিস্তিনের ২০ শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

পরীক্ষায় বসতে রাজি বুয়েট শিক্ষার্থীরা

কুবির শেখ হাসিনা হল প্রাধ্যক্ষের পদত্যাগ

বিশ্ববিদ্যালয়ে ই-রিসোর্সের ব্যবহার বাড়ানোর আহ্বান ইউজিসির

আপিল করবে না শিক্ষা মন্ত্রণালয়, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত ছুটি বহাল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :