ডাকসু নির্বাচনেও জোটের ইঙ্গিত কাদেরের
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ-ডাকসু এবং হল সংসদ নির্বাচনেও সমমনাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের জোটের ইঙ্গিত দিয়েছেন ওবায়দুল কাদের। জানিয়েছেন, এই নির্বাচনে ছাত্রলীগ যেন জয়ী হতে পারে সে বিষয়টি তার দল গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে।
শুক্রবার আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা।
জাতীয় নির্বাচনের মতো এই নির্বাচনেও জোটবদ্ধভাবে লড়াই করার ইঙ্গিত দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ডাকসুতে মেরুকরণ অনুযায়ী সমীকরণ হবে। আমাদের প্রতিপক্ষ ছাত্রসংগঠন যদি ঐক্যবদ্ধ-জোটবদ্ধ প্যানেল দেয় সেই অনুযায়ী আমরাও প্যানেল দেব। সেখানে প্রতিপক্ষের মেরুকরণ অনুযায়ী আমাদের সমীকরণ হবে।’
‘জাতীয় রাজনীতিতে যেভাবে পোলারাইজেশন হয়, তার প্রভাবটা ছাত্র রাজনীতিতেও পড়ে। যাদের সামর্থ্য নেই, তারা হয়ত এত বেশি সুবিধা নিতে পারে না। যাদের সামর্থ্য আছে নির্বাচন করার মত, পোলারাইজেশনটা তারা করবে, তারা চেষ্টা করবে এখান থেকে একটা ফায়দা তোলা যায় কি না।’
আগামী ১১ মার্চ ডাকসু নির্বাচনে ভোট নেওয়ার ঘোষণা আছে। ১৯৯০ সালে এরশাদ সরকারের পতনের পর প্রায় তিন দশকেও নির্বাচন না হওয়ায় এবার এ নিয়ে নানা আলোচনা আছে।
নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপির ছাত্র বিষয়ক সংগঠন ছাত্রদল বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে মিছিলও করতে পেরেছে, যেটা গত এক দশকে তারা পারেনি।
আওয়ামী লীগের ভাতৃপ্রতীম ছাত্রলীগ এরই মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছে। তবে ভোটকেন্দ্র হলে নাকি কেন্দ্রীয়ভাবে হবে এ নিয়ে বিতর্ক করে যাচ্ছেন প্রতিদ্বন্দ্বী ছাত্র সংগঠনের নেতারা। তারা হলে ভোটকেন্দ্র রাখার বিরোধী।
ওবায়দুল কাদের জানান, দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে তারা ডাকসু নির্বাচন নিয়ে চারজন নেতাকে দায়িত্ব দিয়েছেন, তারা ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।
‘আমরা এই নির্বাচনকে সিরিয়াসলি নিয়েছি, গণতান্ত্রিকভাবে জয়লাভ করব বলে আশা করছি।’
ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রলীগের ইতিহাস ভালো নয়। মুক্তিযুদ্ধের পর একবারই সভাপতি বা ভিপি পদে জিতেছিল ছাত্র সংগঠনটি। ১৯৮৯ সালের নির্বাচনে ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের প্যানেল থেকে জেতেন সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ। তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনে তিনি ধানের শীষ নিয়ে জিতেছেন মৌলভীবাজার-২ আসন থেকে।
ঢাকাটাইমস/০৮ফেব্রুয়ারি/টিএ/ডব্লিউবি