নৌনিরাপত্তা সপ্তাহের আলোচনায় বক্তারা

নদী দখলমুক্ত রাখতে সদিচ্ছা দরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ২০:২৩ | প্রকাশিত : ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ২০:১৮

ঢাকা শহরে এমন জায়গা আছে যেখানে মানুষ দেখলে বুঝতেই পারবে না এখানে একদিন নদী ছিল। নদী দখল হয়ে সেখানে বড় বড় ভবন উঠেছে। নদী দখলমুক্ত ও দূষণ রোধ করতে সরকার ও শিল্পমালিকদের সদিচ্ছা প্রয়োজন।

নৌনিরাপত্তা সপ্তাহের এক আলোচনায় এসব কথা বলেন বক্তারা। বুধবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে ‘দূষণ, দখলমুক্ত করি, নৌযাত্রা নিরাপদ করি, বিশ্বমানের নৌ ব্যবস্থার স্বপ্নকে সফল করি’ স্লোগান নিয়ে আলোচনা সভাটি আয়োজন করে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর।

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন সংসদের চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী এবং বিশেষ অতিথি ছিলেন নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

তারা জানান, ইচ্ছা করলেই নদীকে দূষণমুক্ত রাখা যায়। একটা সময় ছিল নদীতে কোনো নিরাপত্তা ছিল না। বর্তমান সরকার নৌ-নিরাপত্তায় কাজ করছে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চিফ হুইপ নৌনিরাপত্তায় জাহাজমালিকদের সচেতনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ২৬ হাজার জাহাজ চলাচল করে। এগুলো চালানোর জন্য মাত্র ২২৫ জন পাইলট রয়েছে।

জাহাজমালিকদের উদ্দেশে চিফ হুইপ বলেন, ‘শুধু ব্যবসা করলেই হবে না, যাত্রীদের নিরাপত্তার কথাও মাথায় রাখতে হবে। নৌ-দুর্ঘটনা হলে ইন্স্যুরেন্স না থাকায় ক্ষতিপূরণ পুষিয়ে নেওয়া যায় না।’ তাই ইন্স্যুরেন্স করার জন্য জাহাজ মালিকদের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

নৌনিরাপত্তার জন্য সরকার বিশেষভাবে কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান নৌ-প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম নৌ মন্ত্রণালয় গঠন করেন। তখন মাত্র ৭টি ড্রেজার ছিল। বর্তমান সরকার তা ৪০টিতে উন্নীত করেছে। ভবিষ্যতে আরো ৩৫টি যোগ করা হবে বলে জানান তিনি।

বর্তমান সরকার আন্তরিকভাবে নদী নিয়ে কাজ করছে জানিয়ে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ঢাকার আশপাশে নদীগুলোসহ বাংলাদেশের সব নদী ড্রেজিং করা আমাদের লক্ষ্য। নদী দূষণ, নদী দখলমুক্ত করতে সরকার আন্তরিকভাবে কাজ করছে। নদী নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড কাজ করছে। বন্দরগুলো আরো যুগোপযোগী করতে আমরা কাজ করছি।’

নৌ-পরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমডোর সৈয়দ আরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনায় আরো অংশ নেন লেখক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ। প্রধান আলোচক ছিলেন এমআইএসটির অধ্যাপক ড. রিয়াজ হাসান খন্দকার, বিআইডব্লিউটিএর চেয়ারম্যান কমডোর মাহবুব-উল-ইসলাম, নৌ পুলিশের ডিআইজি শেখ মুহাম্মদ মারুফ হাসান, অধ্যাপক মীর তারেক আলী, ক্যাপ্টেন আরিফ মাহমুদ।

(ঢাকাটাইমস/৪এপ্রিল/মোআ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

রাজধানী বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :