ইসকনের বিরুদ্ধে মামলা নেয়নি আদালত
মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনসাসনেস (ইসকন) ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যাসহ নয়জনের বিরুদ্ধে মামলার একটি আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সিএমএম আদালত।
বিশিষ্ট ধর্মীয় আলোচক হাবিবুর রহমান মিছবাহ বুধবার এই আবেদন করেন। তিনি ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকার একটি মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল। পরে ঢাকা মহানগর হাকিম আবু সাঈদ তা খারিজ করে দেন।
মামলায় অভিযোগে বলা হয়, গত ৩০ জুন রাজধানীর স্বামীবাগের প্রায় ৫০০ বছরের পুরনো ঐতিহ্যবাহী স্বামীবাগ মসজিদের মুসলিমদের ওপর হামলা চালানো হয়। ইসকন সদস্যরা ভোর চারটা থেকে শুরু করে রাত ১২টা পর্যন্ত মাইক ব্যবহার করে উচ্চশব্দে এলাকা কাঁপিয়ে ঢোল-বাদ্য বাজায়। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সময় ঢোল-বাদ্য বাজানো বন্ধ রাখার অনুরোধ করলে ইসকনের নেত্রীস্থানীয়রা তাতে রাজি না হয়ে বরং চরম দুর্ব্যবহার করে। এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বেঁধে গেলে পুলিশ ও র্যাব এসে পরিস্থিতি সামাল দেয়। পুলিশ সংঘাতময় পরিস্থিতি ঠেকাতে গিয়ে রমজানের তারাবিহ নামাজ বন্ধ রাখে।
এছাড়া ঈদুল ফিতরের আগের দিন রথযাত্রার নামে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেইট সংলগ্ন রাস্তায় আসামিরা উদ্দেশ্যমূলকভাবে নানারূপ অঙ্গভঙ্গি, চেঁচামেচি এবং হৈ-হুল্লোর করেন এবং উচ্চ আওয়াজে বাদ্য-যন্ত্র বাজিয়ে অসহনীয় পরিস্থিতি সৃষ্টি করেন। এরপর ফুড ফর কর্মসূচির মাধ্যমে গত ৮ জুলাই থেকে ১৬ জুলাই চট্টগ্রামের স্কুলে স্কুলে প্রসাদ খাইয়ে শিক্ষার্থীদের ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’ মন্ত্র পাঠ করাতে বাধ্য করে। অথচ সেখানকার শিশুদের অধিকাংশই ছিল মুসলমান।
অন্যদিকে সিলেটের কাজলাশাহ মসজিদেও ইসকনের বাদ্য-যন্ত্র ও মন্ত্র পাঠের তাণ্ডবে নামাজ আদায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। নামাজের সময় তা বন্ধ রাখার অনুরোধ জানালে তারা তা না শুনে বরং মুসলিমদের ওপর হামলা চালায়। ওই ঘটনায় ২০ জন আহত হয়।
মামলায় আরও বলা হয়, আসামিদের এরূপ কর্মকাণ্ড উস্কানিমূূলক এবং তাদের কর্মকাণ্ডে বাদীসহ কোটি কোটি মুসলমানের ধর্মীয় অনুভূতিতে গুরুতরভাবে আঘাত করে। ইসকনের এই কর্মকাণ্ড দেশ ও সমাজের শান্তিপূর্ণ পরিবেশকে যেকোনো সময় অশান্ত করে তুলতে পারে। মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছিল।
(ঢাকাটাইমস/২৪জুলাই/আরজেড/জেবি)