কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চার স্তরের ব্লু প্রিন্ট ভারতের

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকা টাইমস
  প্রকাশিত : ১৮ আগস্ট ২০১৯, ০৯:১৫| আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০১৯, ১২:০৬
অ- অ+

বিশেষ মর্যাদা বাতিলের পর থেকে কড়া নিরাপত্তা বলয়ে ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীর। কারফিউয়ের সঙ্গে পরিস্থিতি বিচার করে বন্ধ রয়েছে যোগাযোগ মাধ্যম। উপত্যকা ঘিরে ঐতিহাসিক পদক্ষেপ করেছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।

পরিস্থিতি যাতে নিয়ন্ত্রণের বাইরে না যায় তার জন্য চলতি মাসের শুরু থেকে সজাগ প্রশাসন। জম্মু-কাশ্মীরের মূল দুটি রাজনৈতিক দলের প্রধানকে আটক করা হয়েছে। আগামীতেও যাতে রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা হাতের বাইরে না যায় তার জন্য বিশেষ কৌশলী পদক্ষেপের কথা বিবেচনা করেছে জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন।

সূত্রের বরাত দিয়ে এনডিটিভি জানিয়েছে, কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রাখতে চারটি স্তরে কাজ করবে প্রশাসন। প্রথম স্তরে থাকবেন খেতাব প্রাপ্ত সরকারি কর্মীরা। যাদের বলা হচ্ছে ‘মুভার্স অ্যান্ড শেকার্স’। এই দলের সদস্যরা সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠান, বুদ্ধিজীবীদের সব সমাবেশে উপস্থিত থাকবেন। যাবেন রাজনৈতিক দলগুলির নানা অনুষ্ঠানে। দেখবেন, জমায়েত থেকে কারা নীরবে হিংসায় মদত দিচ্ছেন। এক্ষেত্রে প্রশাসন অভিযুক্তদের আটক করতে পারে। এমনকি গৃহবন্দি করেও রাখতে পারবে।

শান্তি বজায় রাখতে সরকারের দ্বিতীয় পদক্ষেপ হবে, কাশ্মীরী যুবক যারা প্ররোচিত হয়ে পাথর ছোঁড়ে তাদের আটকানো। এক্ষেত্রে কমিউনিটি বন্ডের (চিন্তাভাবনা রয়েছে প্রশাসনের। ২০টি পরিবারের থেকে মুচলেকা নেওয়া হবে এই মর্মে যে, তাদের পরিবারের যুবকরা পাথর ছোঁড়ার মতো কার্যকলাপে জড়িত থাকবে না।

পাকিস্তান নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে প্রায়ই সশস্ত্র বিদ্রোহীদের ভারতে অনুপ্রবেশ করায় বলে ভারতের অভিযোগ। কাশ্মীরকে শান্ত রাখতে যা বন্ধ করতে হবে। এক্ষেত্রে সীমান্ত সুরক্ষা পর্যালোচনা করা হবে। সীমান্তে সেনা আরও সতর্ক থাকবে। পাঞ্জাব ও জম্মুর সীমান্তের নিরাপত্তাও কড়া করা হবে।

প্রশাসন ধর্মীয় প্রধানদের কার্যকলাপে নজর রাখবে। অনেক সময়, তাদের মাধ্যমেও অশান্তি ছড়াতে পরে। ফলে পরিস্থিতি হাতের নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। এক্ষেত্রে সরকার খুবই কড়া মনোভাবের প্রমাণ মিললেই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হবে।

দু’সপ্তাহের বেশি সময় ধরে জম্মু-কাশ্মীরে নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছে প্রশাসন। প্রথমে, পর্যটক ও অমরনাথ যাত্রীদের উপত্যকা ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। তারপর, রাজ্যের দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মুফতি ও ওমর আবদুল্লাকে আটক করা হয়। কাশ্মীরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রায় ৪০০ কর্মী বর্তমানে জেলে। এছাড়া গোটি বিশ্ব থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার পর কাশ্মীরে আংশিক টেলিফোন ও ইন্টারনেট চালু করা হয়েছে।

ঢাকা টাইমস/১৮আগস্ট/একে

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ড. ফয়জুল হককে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
অতিরিক্ত সচিব আরিফুজ্জামানসহ ৩ জনকে ওএসডি
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবক খুন 
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অর্ধ বার্ষিক বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা