মেঘনায় বাল্কহেডে লঞ্চের ধাক্কা, তিন শ্রমিক নিখোঁজ

মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে ঢাকাগামী যাত্রীবাহী লঞ্চ এমভি কীর্তন খোলা-২ এর ধাক্কায় এমভি নাজিয়া নামের একটি বালুভর্তি বাল্কহেড ডুবে তিন শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন।
গজারিয়া কোস্টগার্ড স্টেশনের কন্টিন্যান্ট কমান্ডার আবদুস সামাদ জানান, তিন শ্রমিককে খুঁজতে এবং ডুবে যাওয়া বাল্কহেড উদ্ধারে ডুবুরি দল. কোস্টগার্ড ও পুলিশের সমন্বিত অভিযান চলছে মেঘনা নদীতে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, স্থানীয় কোস্টগার্ড মেঘনা নদীতে অভিযান চালিয়ে বালুবাহী আটটি বাল্কহেড আটক করে জেটির পাশে নদীতে নোঙর করে রাখে। রবিবার ভোর সাড়ে চারটার দিকে বরিশাল থেকে ঢাকাগামী কীর্তন খোলা-২ লঞ্চটি নোঙর করা বালুভর্তি বাল্কহেড এমভি নাজিয়াকে ধাক্কা দিলে সেটি নদীতে ডুবে যায় এবং অপর বাল্কহেড এমভি আল আসওয়া সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ডুবে যাওয়া বাল্কহেডে থাকা চার শ্রমিকের মধ্যে মিজানুর রহমান বের হতে পারলেও আরও তিন শ্রমিক মুন্না মোল্লা, আসলাম মিয়া ও এমাদুল হক নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানান বাল্কহেডের মালিক রুহুল আমিন মিয়া।
গজারিয়া নৌ-ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক আবদুর রাজ্জাক জানান, এমভি কীর্তন খোলা-২ পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। লঞ্চের মাস্টার (চালক) শহিদুল ইসলাম কোস্টগার্ডের হেফাজতে রয়েছেন। নিখোঁজ তিন শ্রমিকের সলিল সমাধি ঘটেছে বলে ধারণা উদ্ধারকারী দলের।
কোস্ট গার্ডের নারায়ণগঞ্জের পাগলা স্টেশনের পেটি অফিসার লুৎফর রহমান লঞ্চের চালক তাদের হেফাজতে রয়েছেন জানিয়ে ঢাকাটাইমসকে বলেন, শহিদুল ইসলাম দাবি করেছেন, নোঙর করা বাল্কহেডগুলোতে কোনো আলো না থাকায় কুয়াশার কারণে তাদের অবস্থান বোঝা যায়নি।
(ঢাকাটাইমস/১৭নভেম্বর/জেবি)

মন্তব্য করুন