ব্যাংক ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করার তাগিদ

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক
  প্রকাশিত : ২৩ ডিসেম্বর ২০১৯, ১৯:২২
অ- অ+

ব্যাংক ও ফিনটেক প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে কাজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এতে গ্রাহকসেবার মান বাড়বে, গ্রাহকরা নতুন নতুন সেবা উপভোগ করতে পারবে এবং একই সঙ্গে আর্থিক অন্তর্ভুক্তি অনেকাংশে বাড়বে বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।

বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ব্যাংক ম্যানেজমেন্টের (বিআইবিএম) এক গোলটেবিল আলোচনায় বক্তারা এই মত দিয়েছেন। সোমবার রাজধানীর মিরপুরে বিআইবিএম অডিটোরিয়ামে ‘ফিনটেক অ্যান্ড রেগটেক: পসিবল ইমপ্যাক্ট অন ব্যাংকিং সিস্টেম ইন বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি গবেষণা প্রতিবেদন উপস্থাপন করা হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. মো. আখতারুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন বিআইবিএম-এর অধ্যাপক এবং পরিচালক (গবেষণা, উন্নয়ন ও পরামর্শ এবং প্রশাসন ও হিসাব) ড. প্রশান্ত কুমার ব্যানার্জ্জী। তিনি তার বক্তব্যে ব্যাংকিং সিস্টেমে ফিনটেক-রেগটেক-এর প্রভাবের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ করেন।

বক্তারা বলেন, সনাতন ফিনান্সিয়াল সার্ভিসগুলোকে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সুবিধাজনকভাবে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেয়াই ফিনটেক।

গোলটেবিল বৈঠকে গবেষণা প্রতিবেদন যৌথভাবে উপস্থাপন করেন বিআইবিএম-এর সহযোগী অধ্যাপক শিহাব উদ্দিন খান এবং বিআইবিএম-এর প্রভাষক ফয়সাল হাসান। চার সদস্যের একটি গবেষণা দল এ গবেষণা সম্পন্ন করেন। গবেষণা দলে অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন বাংলাদেশ ব্যাংকের মহাব্যবস্থাপক মোহাম্মদ ইসহাক মিয়া; সাউথ বাংলা এগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মিজানুর রহমান।

গোলটেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিআইবিএম-এর নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম. মনিরুজ্জামান। গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্যাংকের উচ্চ পর্যায়ে ফিনটেক এবং রেগটেক বিষয়ে সচেতনতা জরুরি। কেননা ব্যাংকিং খাতে পরিবর্তিত প্রযুক্তির বিষয়ে ব্যবস্থাপনা পর্যায়ে সচেতনতা থাকলে ব্যাংক বা আর্থিক খাতের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করা সম্ভব।

বিআইবিএম-এর নির্বাহী কমিটির সভাপতি এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের ডেপুটি গভর্নর এস.এম. মনিরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংক সার্বক্ষণিকভাবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং করছে। নতুন প্রযুক্তির ব্যবহারের বিষয়ে গাইডলাইনও দিচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বিট কয়েনের ব্যবহার বন্ধে উদ্যোগ নেওয়ার পাশাপাশি স্টেক হোল্ডারদের মধ্যে সচেতনতাও বাড়ানো হয়েছে। ই-ব্যাংকিং কার্যক্রম আরও জোরদারভাবে পরিচালনার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

বিআইবিএম-এর চেয়ার প্রফেসর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রাক্তন অধ্যাপক ড. বরকত-এ-খোদা বলেন, আইটি খাতে ব্যয় করলে এখান থেকে আয়ের পাশপাশি চলমান খরচ আরও বেশি সাশ্রয় করা সম্ভব। এ কথা ব্যংক ব্যবস্থাপনার সঙ্গে জড়িতদের বোঝাতে হবে।

পূবালী ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং বিআইবিএম-এর সুপারনিউমারারি অধ্যাপক হেলাল আহমদ চৌধুরী বলেন, ফিনটেক এখন বাস্তবতা। বর্তমানে একটি প্রযুক্তি জ্ঞানসমৃদ্ধ একটি জাতি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছি। তার জন্যে নতুন নতুন প্রযুক্তি আত্মস্থ করতে হবে। ব্যাংকিং অনেক বেশি চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন। পুরানো ধ্যান-ধারণাকে কেড়ে ফেলে দিয়ে প্রযুক্তিনির্ভর সেবা নিয়ে আসতে হবে যুগের দাবির সাথে তাল মিলিয়ে।

(ঢাকাটাইমস/২৩ডিসেম্বর/জেআর/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে আরও ১৬৪ জন
মাইলস্টোনের আকাশে খসে পড়া তারাগুলো
ফিটনেসবিহীন রাষ্ট্র চাপিয়ে দিয়ে গেছে শেখ হাসিনা: নাহিদ ইসলাম
মাইলস্টোনের শিক্ষিকা মাশুকা বেগমের কবরে বিমান বাহিনীর শ্রদ্ধা
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা