খালেদের অস্ত্র মামলার চার্জশিট গ্রহণের শুনানি পেছাল

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৮:৪৮
ফাইল ছবি

ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের বহিষ্কৃত সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়ার অস্ত্র মামলায় চার্জশিট গ্রহণের শুনানি পিছিয়ে আগামী ১৫ জানুয়ারি ধার্য করেছে আদালত।

কারাকর্তৃপক্ষ বৃহস্পতিবার খালেদকে আদালতে হাজির না করায় ঢাকা মহানগর সিনিয়র দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।

ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল জানান, বৃহস্পতিবার মামলাটিতে চার্জশিট গ্রহণের দিন ধার্য ছিল। যা কারাগারে থাকা আসামিদের উপস্থিতিতে হওয়া বাধ্যতামূলক। কিন্তু কারাকর্তৃপক্ষ তাকে আদালতে হাজির করতে পারেনি মর্মে প্রতিবেদন পাঠিয়েছে। যা আদালত আমলে নিয়ে পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেছেন বিচারক।

এর আগে গত বছর ২৩ অক্টোবর ঢাকা সিএমএম আদালতে এ চার্জশিট দাখিল করেছেন র‌্যাব-৩ এর সহকারী পুলিশ সুপার মো. রেলায়েত হোসেন।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর রাতে গুলশানের বাসায় অভিযান চালিয়ে খালেদ মাহমুদকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। ওই সময় তার তিন হাজার স্কয়ার ফিটের ফ্ল্যাটের শয়ন কক্ষের ওয়াল কেবিনেটের মাঝের তাক থেকে তার বের করে দেয়া মতে অবৈধ একটি ১২ বোরের শটগান, শটগানের ৫৭ রাউন্ড গুলি, কাঠের বাটযুক্ত ৭ দশমিক ৬৫ বোরের একটি পিস্তল।

ওই ঘটনায় র‌্যাব-৩ এর ওয়ারেন্ট অফিসার মো. গোলাম মোস্তফা গুলশান থানায় একটি মামলা করেন।

চার্জশিটে বলা হয়, ‘আসামি খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া ১৯৯৬ সাল থেকে যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন। তিনি ২০১২ সালে ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্বপ্রাপ্ত হয়ে এলাকায় বিশাল এক সন্ত্রাসী বাহিনী গড়ে তুলেন। তিনি একজন ভয়ঙ্কর আন্ডার গ্রাউন্ড সন্ত্রাসী হিসেবে এলাকার মানুষের নিকট পরিচিত। রাজধানীর মতিঝিল, আরামবাগ, ফরিকারপুল, শাহজাহানপুর, মুগদা, কমলাপপুর, রামপুরা, সবুজবাগসহ আশপাশের এলাকায় তিনি সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেন। সাধারণ মানুষ তার ভয়ে আতঙ্কিত ছিল। সে ঢাকার মতিঝিলে ইয়ংমেন্স ক্লাবসহ বেশ কয়েকটি ক্লাবে জুয়া, ক্যাসিনো, মাদকের রমরমা ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। তিনি খিলগাঁও- শাহজাহানপুর হয়ে চলাচলকারী গণপরিবহন থেকে নিয়মিত মোটা অংকের চাঁদা আদায়, প্রতি ঈদে শাহজাহানপুর কলোনি মাঠ মেরাদিয়া এবং কমলাপুর পশুর হাট নিয়স্ত্রণ, খিলগাঁও রেল ক্রসিং এ প্রতিরাতে শক্তির দাপট দেখিয়ে মাছের হাট বসিয়ে মোটা অংকের টাকা আদায় করা ছিল তার নিত্য নৈমিত্তিক কাজ। তিনি এলাকার সরকারি প্রতিষ্ঠান, রাজউক, সিটি করপোরেশন, ক্রীড়া পরিষদ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, যুব ভবন, কৃষি ভবন, ওয়াসার ফরিকারপুল জোনসহ সকল প্রতিষ্ঠানে তার মালিকানাধীন ‘ভূঁইয়া এন্ড ভূঁইয়া’ নামক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে একছত্র টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ করতেন। তিনি ফরিকারপুল ইয়াংমেন্স ক্লাবের সভাপতির দায়িত্বে থেকে ক্যাসিনো, মাদক ও জুার আসর বসিয়ে প্রতিদিন হাতিয়ে নিতেন লাখ লাখ টাকা। গত ১৯ সেপ্টেম্বর তার ইয়াংমেন্স ক্লাবে অভিযান চালিয়ে ১৬৩ জন মাদক সেবীকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় গ্রেপ্তার করা হয়। যাদের ৬ মাস থেকে ১ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। আসামির উল্লেখিত অবৈধ ব্যবসাসমূহ নিয়ন্ত্রণ করার জন্য রয়েছে এক অবৈধ অস্ত্রধারী বিশাল বাহিনী। আর সেই বাহিনী পরিচালনার জন্য তার অবৈধ টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, মাদক ও ক্যাসিনো ব্যবসা পরিচালনার জন্য তিনি ব্যবহার করতেন অবৈধ অস্ত্র। জব্দকৃত অবৈধ অস্ত্রের মধ্যে একটি শটগাণ ও পিস্তলের লাইসেন্স থাকলেও ২০১৭ সালের পর তা নবায়ন করা হয়নি। যার কারণে তা অবৈধ হিসেবে বিবেচিত।’

ঢাকাটাইমস/০৯জানুয়ারি/ইএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

ব্যবসায়ী নাসিরের মামলা: পরীমনিকে আদালতে হাজির হতে সমন জারি

বোট ক্লাব কাণ্ড: পরীমনির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন

সেই রাতে ৮৭ হাজার টাকার মদ খেয়েছিলেন পরীমনি, পার্সেল না দেওয়ায় তাণ্ডব

বোট ক্লাব কাণ্ড: প্রতিবেদন দিল পিবিআই, ব্যবসায়ী নাসিরের মামলায় ফেঁসে যাচ্ছেন পরীমনি?

ড. ইউনূসকে স্থায়ী জামিন দেননি শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল

সদরঘাটে লঞ্চ দুর্ঘটনা: আসামিদের তিনদিনের রিমান্ড

অরিত্রীর আত্মহত্যা: চতুর্থ বারের মতো পেছাল রায় ঘোষণার দিন, কী কারণ?

অরিত্রীর আত্মহত্যা: ভিকারুননিসার ২ শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলার রায় আজ

বুয়েট শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ রাব্বিকে হলের সিট ফেরত দেওয়ার নির্দেশ

আত্মসমর্পণের পর ট্রান্সকমের ৩ কর্মকর্তার জামিন

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :