নয় মাসে কাজের ভিজিবিলিটি হয় না: আতিকুল

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৫১| আপডেট : ১৯ জানুয়ারি ২০২০, ১৩:৫৭
অ- অ+

নয় মাসে কাজের ভিজিবিলিটি হয় না বলে জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। বলেছেন, আমি গত ৯ মাস দায়িত্ব পালন করেছিলাম। তখন ডিজিটাল সিটি বিনির্মাণের জন্য অনেক কিছু করেছি। অনেক কাজ দেখাতে পারিনি। আসলে নয় মাসে কাজের ভিজিবিলিটি হয় না।

রবিবার দুপুরে রাজধানীর কল্যাণপুরে নির্বাচনী গণসংযোগে তিনি এসব কথা বলেন।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এই নয় মাসের পরিকল্পনার মধ্যে ছিল কমান্ড সেন্টার। ইতিমধ্যে কমান্ড সেন্টার তৈরি করেছি। এই কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে ঢাকার কোথায় ময়লা পড়ে রয়েছে, পরিচ্ছন্নকর্মীরা কোথা থেকে ময়লা নেয়নি, কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে সে খবর চলে আসবে।’

নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানিয়ে সাবেক মেয়র আতিকুল বলেন, ‘নির্বাচন কমিশন দেরিতে হলেও সরস্বতী পূজার বিষয়টিকে আমলে নিয়ে নির্বাচন পিছিয়ে দিয়েছে। ১ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন হবে ইনশাল্লাহ। বাংলাদেশ একটি অসাম্প্রদায়িক দেশ, এটাই তার প্রমাণ। আসুন আমরা সবাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করি। বঙ্গবন্ধুর শতবর্ষ বার্ষিকীতে ঢাকাবাসীকে আমরা নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করি।’

আতিকুল বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও নৌকার ব্যাকগ্রাউন্ড লাগে না, নৌকার ব্যাকগ্রাউন্ড নৌকার গিয়ার একটিই, সেটা হচ্ছে উন্নয়নের গিয়ার, নৌকার জোয়ার। নৌকায় যদি ভোট দেন, তাহলে অবশ্যই নৌকা দেবে উন্নয়ন, নৌকা দেবে শান্তি, নৌকা দেবে শৃঙ্খলা, নৌকা দেবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে ঘোষণা।’

তিনি ঢাকাকে নারীবান্ধব করার ঘোষণা দিয়ে বলেন, নারীবান্ধব শহর গড়তে সিসি ক্যামেরা লাগাবো। সিসি ক্যামেরার টোটাল নেটওয়ার্কটা আমাদের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে চলে আসবে। আলোকিত ঢাকা নির্মাণে ৪২ হাজার লাইট লাগানো হবে ঢাকা শহরে। এই লাইট লাগানোর জন্য কন্ট্রোল প্যানেলও কমান্ড সেন্টারের মাধ্যমে চলে আসবে। নিরাপদ, পরিষ্কার ও আলোকিত ঢাকা গড়তে ইতিমধ্যে আমরা কমান্ড সেন্টারের কাজ শুরু করেছি। আগামী এক বছরের মধ্যে সব চলে আসবে কমান্ডার সেন্টারের অধীনে।

আওয়ামী লীগের প্রার্থী বলেন, ‘যদি শক্ত নেটওয়ার্কিং গঠন করতে পারি, তাহলে আমরা অ্যাপসের মাধ্যমে সবই জানতে পারবো এবং প্রত্যেকেই মেয়র হিসেবে ভূমিকা পালন করতে পারবেন।’

দুর্নীতিমুক্ত সিটি করপোরেশন গড়ার অঙ্গীকার করে তিনি বলেন, ‘সরাসরি কেউ যদি ট্যাক্স দিতে যায়, তাহলে অসাধু কিছু কর্মকর্তার সাথে নেগোসিয়েশন হয়। এই ফ্ল্যাটের ট্যাক্স এত ওই ফ্ল্যাটের ট্যাক্স এত টাকা। এগুলো আর চলবে না। চলতে দেয়া হবে না। অনলাইনের মাধ্যমে সবাই বাড়ির ট্যাক্স দেবেন, আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার অফিসে আর যেতে হবে না। এ ধরনের কাজ ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে এ বন্দোবস্ত করা হবে।’

এসময় তার সঙ্গে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এসএম মান্নান কচি, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, মহানগর আওয়ামী লীগের নেতা আজিজুল হক রানাসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।

(ঢাকাটাইমস/১৯জানুয়ারি/টিএ/জেবি)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ফেসবুকে লাভজনক বিনিয়োগের প্রলোভন, শতাধিক মানুষকে ঠকিয়েছে নাইজেরিয়ান চক্রটি
সোনার দাম ভরিতে কমল ১৫৭৫ টাকা
কুমিল্লা সীমান্তে অর্ধ কোটি টাকার ভারতীয় শাড়ি জব্দ
মিরপুরে বাসায় ঢুকে চাঁদাবাজি, গ্রেপ্তার ৪
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা