ঝুঁকি উপেক্ষা করে হাসপাতালে হাসপাতালে মমতা

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
 | প্রকাশিত : ২৫ মার্চ ২০২০, ০৮:৫৭

করোনা পরিস্থিতিতে সরকারি চিকিৎসক-সহ স্বাস্থ্য প্রশাসনের কর্মকর্তাদের মনোবল বাড়াতে অনেকটা ঝুঁকি উপেক্ষা করে মঙ্গলবার কলকাতা শহরের প্রায় সব কটি মেডিকেল কলেজ, রাজারহাট কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র এবং আইডি হাসপাতাল ঘুরে দেখলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

নবান্নে সাংবাদিক বৈঠকের শেষে প্রথমে আর জি কর হাসপাতালে যান মুখ্যমন্ত্রী। ইতিমধ্যেই সেখানে করোনা আইসোলেশন ওয়ার্ড খোলা হয়েছে। আগামী দিনে রাত্রি-আবাসে শয্যা বাড়ানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকাঠামোগত কী সমস্যা রয়েছে, তা নিয়ে উপাধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন মমতা। জানান, লকডাউনের জেরে হাসপাতালের চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীদের যাতায়াতে অসুবিধার কথা মাথায় রেখে হোটেলে থাকা এবং গাড়ির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর পর মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ারের দুটি বাক্স কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, এর সঙ্গে স্বাস্থ্য দপ্তরের সম্পর্ক নেই। এটা আলাদাভাবে দেওয়া হলো।

মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর পরবর্তী গন্তব্য ছিল কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ। সেখানে ছিলেন স্বাস্থ্যশিক্ষা অধিকর্তা দেবাশিস ভট্টাচার্য। এই হাসপাতালকে করোনা হাসপাতালে পরিণত করার প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। সে বিষয়ে দেবাশিসবাবুর পাশাপাশি অধ্যক্ষা মঞ্জুশ্রী রায়ের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর এনআরএসে পৌঁছে অধ্যক্ষ শৈবাল মুখোপাধ্যায় এবং উপাধ্যক্ষ সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে কথা বলেন। করোনায় রাজ্যের প্রথম মৃতের সহকর্মী এনআরএসের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন। তার স্বাস্থ্য সম্পর্কে খোঁজ নেন মমতা।

এনআরএস থেকে এসএসকেএম হয়ে মুখ্যমন্ত্রী রাজারহাট কোয়রান্টিন কেন্দ্রে গিয়ে স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শোনেন। এর পর রাজ্যে করোনা চিকিৎসার কেন্দ্র বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে গিয়ে করোনা চিকিৎসার হালহকিকত জানেন। তার পরে যান এম আর বাঙুরে। সুপার শিশির নস্করের কথায়, ‘মুখ্যমন্ত্রী যে ভাবে সাহস জুগিয়ে গেলেন তার তুলনা হয় না।’ মুখ্যমন্ত্রী যখন হাসপাতাল ছেড়ে যাচ্ছেন তখন নমস্কার করলেন অধ্যক্ষা অণিমা হালদার এবং উপাধ্যক্ষ আশিস মান্না। প্রতি নমস্কারে মাথা ঝুঁকিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বললেন, ‘খুব ভাল কাজ করছেন। নিজেদের খেয়াল রাখুন।’

সাংবাদিক বৈঠকেও রাজ্যবাসীকে সতর্ক থাকার বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘হাত জোড় করে অনুরোধ করছি, দূরত্ব বজায় রেখে কেনাকাটা করুন। ব্যাংকের লাইনে যারা দাঁড়ান, তাদেরও একই কথা বলব। রাস্তায় ক্রিকেট খেলবেন না দয়া করে। একটা বাড়িতেই চার জনের হয়ে গেল। কতটা ভয়ংকর, বুঝতে পারছেন না। ভিন্ন রাজ্য থেকে যারা ফিরেছেন, তাদের বলব, ঘরে থাকুন। ১৪ দিন পরিবারের সঙ্গেও দূরত্ব রেখে চলুন। -আনন্দবাজার

(ঢাকাটাইমস/২৫মার্চ/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আন্তর্জাতিক বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ

কলকাতা হাইকোর্টের বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ মমতার

ভারী বৃষ্টিপাতে ক্ষতিগ্রস্ত কারাগার, পালালো শতাধিক বন্দি 

ভারতে লোকসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় পর্বে ১৩ রাজ্যের ৮৮ আসনে ভোটগ্রহণ শুক্রবার

ইরানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে গ্রেপ্তার করতে চায় আর্জেন্টিনা, কিন্তু কেন?

স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ, দায়িত্বপালন থেকে বিরত থাকবেন স্পেনের প্রধানমন্ত্রী 

ইউক্রেনকে গোপনে দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র

ইসরায়েল-ইরান সংঘাত: সিরিয়া কি নতুন যুদ্ধক্ষেত্র হবে?

ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিবে জ্যামাইকা

পাকিস্তানের পর এবার শ্রীলঙ্কা সফরে ইরানের প্রেসিডেন্ট

বিরল সফরে ইরানে উত্তর কোরিয়ার প্রতিনিধিদল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :