করোনা: বাংলাদেশসহ দ. এশিয়ার প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষার আহ্বান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
  প্রকাশিত : ২৬ মার্চ ২০২০, ১৮:১৭| আপডেট : ২৬ মার্চ ২০২০, ২০:৫৮
অ- অ+

বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া কভিড-১৯ (করোনাভাইরাস) প্রান্তিক এবং ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মধ্যে সংক্রমণের হার ঠেকাতে আরও জোরালো পদক্ষেপ নিতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠন অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।

গতকাল বুধবার এক বিবৃতিতে দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের দিনমজুর, বাস্তুচ্যুত, স্বাস্থ্যকর্মী এবং কারাবন্দিদের সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

ইতোমধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার প্রায় সবকটি দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমণের হার ঠেকাতে লকডাউন জারিসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। কিন্তু লকডাউন বা কারফিউ আরোপ সত্ত্বেও এ অঞ্চলে করোনার বিস্তার ঠেকানো সম্ভব নাও হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে সংস্থাটি। বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রান্তিক ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের ওপর বিশেষ নজর দেওয়ার আহ্বান জানায় সংস্থাটি।

সম্প্রতি চলতি সপ্তাহে বাংলাদেশের কক্সবাজারে প্রথম এক জনের করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এই বিষয়ে রোহিঙ্গা শিবিরে সঠিক তথ্য দিতে না পারায় সেখানে গুজব ছড়িয়েছে বলে জানানো হয় ওই বিবৃতিতে।

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের রোহিঙ্গা শিবিরে সামাজিক শিষ্টাচার পালন সম্ভব না। সেখানকার কুতুপালং শিবিরের তাঁবুগুলো একটার সঙ্গে অপরটা লাগানো। সেখানে চিকিৎসা ও জরুরি সেবারও অভাব রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়।

বিবৃতিতে সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়া পরিচালক বিরাজ পাটনায়েক বলেন, ‘দক্ষিণ এশিয়ায় কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় এই সংকটে আঞ্চলিক নেতাদের অবশ্যই সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ও প্রান্তিক মানুষদের ওপর বিশেষ নজর দিতে হবে।বাড়িতে থাকায় জীবিকা হারানো শ্রমিক, সংঘাতে বাড়ি হারিয়ে জনাকীর্ণ শিবিরে আশ্রয় নেওয়া মানুষ, প্রয়োজনীয় উপকরণ না পাওয়া যেসব চিকিৎসক ও নার্স এখন অন্যের জীবন বাঁচাতে নিজেদের জীবন ঝুঁকিতে ফেলছেন তাদের সবাইকে রক্ষায় এখন ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।’

অভিযোগ রয়েছে, করোনাভাইরাসের ব্যাপারে সঠিক তথ্য প্রকাশে গড়িমসি করছে দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন দেশের সরকার। অ্যামনেস্টির বিবৃতিতেও একই সুর দেখা যায়।সঠিক তথ্য প্রকাশে ব্যর্থতার জন্য এ অঞ্চলের সরকারগুলোর সমালোচনা করেছে সংস্থাটি। সংক্রমণ থেকে নিজেকে রক্ষা এবং ভাইরাস ঠেকাতে নেওয়া সরকারি পদক্ষেপ নিয়েও যথেষ্ট তথ্য জানানো হচ্ছে না বলে উল্লেখ করে বিবৃতিতে এ বিষয়ে রাষ্ট্রের ভূমিকা স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়।

এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ার কারাগারগুলোতে ধারণ ক্ষমতার অতিরিক্ত বন্দি রয়েছে উল্লেখ করে মানবাধিকার সংস্থাটি বলেছে, পয়নিষ্কাশনের সীমিত সুবিধার কারণে সেখানকার বন্দিরা এমনিতেই বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে। আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইন এবং মান অনুযায়ী বন্দিদের সেই ধরনের চিকিৎসা সুবিধা দিতে হবে যা বাইরের নাগরিকেরাও পেয়ে থাকেন।

(ঢাকাটাইমস/২৬মার্চ/আরআর/ইএস)

google news ঢাকা টাইমস অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি ফলো করুন

মন্তব্য করুন

শীর্ষ খবর সর্বশেষ জনপ্রিয়
সব খবর
ড. ফয়জুল হককে বিএনপি থেকে বহিষ্কার
অতিরিক্ত সচিব আরিফুজ্জামানসহ ৩ জনকে ওএসডি
যশোরে পূর্ব শত্রুতার জেরে যুবক খুন 
স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের অর্ধ বার্ষিক বিজনেস রিভিউ মিটিং অনুষ্ঠিত
বিশেষ প্রতিবেদন তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা