সংসদে প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর বিয়ের গল্প শোনালেন মতিয়া
সাংবিধানিক বাধ্যবাধকতার মধ্যে করোনা পরিস্থিতিতেও স্বল্প সময়ের জন্য বসেছিল সংসদের সপ্তম অধিবেশন। শনিবার বিকালে অধিবেশন শুরু হওয়ার পর সদ্য প্রয়াত সাবেক ভূমিমন্ত্রী শামসুর রহমান শরীফের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব আনা হয়।
শোক প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ কয়েকজন শীর্ষ নেতা। রাজনৈতিক সহযোদ্ধা হিসেবে শামসুর রহমান শরীফের নানা গুণকীর্তনের পাশাপাশি তার বিয়ের গল্পও তুলে ধরেন মতিয়া চৌধুরী। তাদের সঙ্গে পারিবারিক সম্পর্ক ছিল বলেও জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
প্রয়াত ভূমিমন্ত্রীর বিয়ের গল্প বলতে গিয়ে মতিয়া চৌধুরী বলেন, শরীফ ভাই এবং ভাবি তারা দুজনকে অনেক ভালোবাসতেন। তিনি তো বিয়ের আসর থেকে এক রকম ভাবিকে তুলে নিয়ে এসেছিলেন। এত প্রেম ছিল তাদের মধ্যে।
দলের জন্য তার অবদানের কথা তুলে ধরে মতিয়া চৌধুরী বলেন, শামসুর রহমান শরীফ দলের সংকটকালে কোনোদিন রক্তচক্ষুকে ভয় পাননি। তিনি সব নির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন। মৃদুভাষী ছিলেন। কর্মীদের জন্য তিনি বন্ধুর মতো ছিলেন। ১২ বছরের ছেলের সঙ্গেও বন্ধুত্বও পাতাতে পারতেন। নাতির থেকেও কম বয়সী মানুষের সঙ্গে কৌতুকে মেতে উঠতেন।
গত ২ এপ্রিল চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে মারা যান শামসুর রহমান শরীফ। পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের এই সভাপতিকে ১৯৯৬ সালে দল মনোনয়ন দিলে বিপুল ভোটের ব্যবধানে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর ২০০১, ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে মোট পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। শামসুর রহমান শরীফ ও মিসেস কামরুন্নাহার শরীফ দম্পতির পাঁচ পুত্র ও পাঁচ কন্যার মধ্যে মেজ ছেলে রানা শরীফ সড়ক দুর্ঘটনায় মারা যান।
মতিয়া চৌধুরী বলেন, ভূমিমন্ত্রী এমন জায়গা যেখানে গেলে অকারণেই গায়ে দাগ লেগে যায়। কিন্তু শরীফ ভাইয়ের শরীরে কোনো দাগ লাগেনি। তাকে নিয়ে কিছু লিখতে পারেনি কেউ। তার নেতৃত্বের অভাববোধ পাবনাবাসী করবে। কারণ কর্মীদের সঙ্গে বন্ধু এবং নেতা হওয়ার ঘটনা বিরল। অনেকেই অর্জন করতে পারিনি।
তার রুহের মাগফেরাত কামনা করে আওয়ামী লীগের এই শীর্ষ নেতা বলেন, পাবনাবাসীর মনে তিনি চীরদিন জাগুরুক থাকবেন। তার কৌতুকপ্রিয়তা, সাহসিকতা, জেলখাটা এসব গুণ মনে রেখে পাবনার কর্মীরা এগিয়ে যাবে।
শামসুর রহমান শরীফকে নিয়ে স্মৃতিচারণ করেন সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, শাজাহান খান ও বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ মশিউর রহমান রাঙ্গা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও তার স্মৃতিচারণ করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৮এপ্রিল/বিইউ/জেবি)