গাজীপুরে চার খুন: সন্তানসহ মাকে ধর্ষণ-হত্যা

গাজীপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৭ এপ্রিল ২০২০, ২৩:১৯ | প্রকাশিত : ২৭ এপ্রিল ২০২০, ২৩:০১

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বুধবার রাতে জৈনাবাজার আবদার এলাকায় সন্তানসহ মাকে ধর্ষণের পর গলাকেটে হত্যার ঘটনার মূল হোতাকে গ্রেপ্তার করেছে বলে দাবি করেছে পুলিশ ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। সোমবার তাকে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হয়। পরে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিলে তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন বিচারক।

রবিবার দিবাগত রাতে তাকে গ্রেপ্তার করা হয় বলে জানিয়েছেন পিবিআই পরিদর্শক হাফিজুর রহমান। গ্রেপ্তার হওয়া পারভেজ (২০) আবদার গ্রামের বাসিন্দা। পারভেজ ছাড়াও ওই হত্যাকান্ডে আরো বেশ কয়েকজন অংশ নিয়েছিলেন। পারভেজের নামে শ্রীপুর থানায় আগেও খুন ও ধর্ষণের মামলা রয়েছে।

এ নিয়ে গাজীপুর পিবিআই অফিসে সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর ইউনিট ইনচার্জ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাসির আহমেদ সিকদার জানান, রবিবার রাতে পারভেজকে আবদার এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করার পর তাকে জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের দায়ভার স্বীকার করেন। রাতেই তাকে নিয়ে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক হাফিজুর রহমান ও তার দল পারভেজের ঘরে তার দেখানো স্থান থেকে রক্তমাখা কাপড় ও মাটির নিচে চাপা দেয়া অবস্থায় মোবাইল ফোন উদ্ধার করে। এ সময় একটি পায়জামার ভেতর থেকে তিনটি গলার চেন, ফাতেমার কানের দুলসহ কিছু স্বর্ণলংকার উদ্ধার করা হয়েছে। পরে বিকালে পারভেজকে গাজীপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শরিফুল ইসলামের আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিচারক তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। হত্যার আগে তিনি নুরা ও তার বোন হাওরিনকে ধর্ষণ করে এবং পরে গলাকেটে হত্যা করেন বলে জবানবন্দিতে স্বীকার করেছেন।

উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার বিকালে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার জৈনাবাজার এলাকার একটি বাড়ি থেকে মা ও তিন সন্তানের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহতরা হলেন, আবদার এলাকার প্রবাসী রেদোয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী ইন্দোনেশিয়ান নাগরিক স্মৃতি আক্তার ফাতেমা (৪৫), তার বড় মেয়ে সাবরিনা সুলতানা নূরা (১৬), ছোট মেয়ে হাওরিন হাওয়া (১২) ও বাক প্রতিবন্ধী ছেলে ফাদিল (৮)।

শ্রীপুর থানার ওসি লিয়াকত আলী বলেন, গত বুধবার রাতে আবদার এলাকায় নিজ বাড়িতে খুন হন মালয়েশিয়া প্রবাসী রেজওয়ান হোসেন কাজলের স্ত্রী, দুই মেয়ে ও এক ছেলে। এ ব্যাপারে পরদিন কাজলের বাবা বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা খুনিদের আসামি করে মামলা করেন এবং পিবিআই, র‌্যাবসহ পুলিশের তদন্তকারী একাধিক টিম জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কয়েকজনকে আটক করে। খুনের তিনদিন পরই গ্রেপ্তার হলো এই হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা।

(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :