করোনা সংকটেও আমানতে ব্যতিক্রম পূবালী ব্যাংক

বিশ্বব্যাপী নভেল করোনাভাইরাস তথা কোভিড-১৯ এর মহামারীতে সংকটে পড়েছে বিশ্ব অর্থনীতি। দেশের অর্থনীতিতেও এরইমধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। একমাসের বেশি সময় ধরে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত, কল-করাখানা, দোকানপাট বন্ধ থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে অর্থনীতি।
এরমধ্যে গ্রাহকের নগদ অর্থ উত্তোলনের পরিমান বেড়ে যাওয়ায় অনেক ব্যাংকে নগদ টাকার সংকটও সৃষ্টি হয়েছে। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম বেসরকারি মালিকানাধীন পূবালী ব্যাংক লিমিটেড। গ্রাহকদের টাকা উত্তোলনের পাশাপাশি যথেষ্ট আমানতও রয়েছে ব্যাংকটিতে। ফলে সংকটকালীন সময়েও তাদের আমানত কমেনি।
সোমবার ঢাকাটাইমসের সঙ্গে একান্ত আলাপকালে পূবালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আবদুল হালিম চৌধুরী একথা জানান।
তিনি বলেন, ‘সাধারণ ছুটিতে ব্যাংক খোলা থাকায় শহরের তুলনায় গ্রামের শাখায় গ্রাহক বেশি এসেছে। ঢাকার কোনো কোনো শাখায় ৪ থেকে ৫ জন গ্রাহক আমাদের ব্যাংকে এসেছে। কিন্তু ইউনিয়ন পর্যায়ে আমাদের অনেক শাখায় ২ থেকে ৩ শত গ্রাহক ভিড় করে। গ্রামের এসব গ্রাহক ৫ শত টাকা তুলতেও ব্যাংকে আসে। তাদের উত্তোলনের মোট পরিমাণ বেশি না। এটা স্বাভাবিক উত্তোলন।’
‘আমাদের বড় বড় গ্রাহক বা মেয়াদী আমানতের গ্রাহকরা কেউ টাকা উত্তোলনের জন্য আসেননি। তাই আমাদের আমানত কমেনি। এছাড়া কেন্দ্রীয় ব্যাংক সিআরআর, রেপো এবং এডিআর সুবিধা দেওয়ায় আমাদের ব্যাংকে পর্যাপ্ত নগদ অর্থ রয়েছে।’
করোনায় ব্যাংক খাতে কি ধরণের সংকট দেখছেন জানতে চাইলে আবদুল হালিম চৌধুরী জানান, তাদের ব্যাংকের এক-তৃতীয়াংশ শাখা খোলা। কিন্তু বর্তমানে লকডাউন থাকায় তেমন গ্রাহক ব্যাংকে আসছেন না। তার সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি কমে যাওয়ায় ব্যবসায়ীরা তেমন এলসিও খুলছেন না। আর রেমিট্যান্স তেমন আসছে না।
তিনি বলেন, ‘তবে আশার দিক হলো, চায়না ও আমেরিকা ইতিমধ্যে খুলে তাদের শিল্প-কলকারখানা খুলেছে। আমাদের গামেন্টস খুলে দেয়া হয়েছে। সামনে ঈদ এসময় বেশ রেমিট্যান্স আসবে বলে আমরা আশাবাদী।’
সংকট মোকাবেলায় কি ধরণের পদক্ষেপ নিয়েছেন জানতে চাইলে তিনি জানান, সরকার প্রণোদনার যে সুবিধা দিয়েছেন এটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা গেলে সংকট মোকাবেলা করা যাবে। তবে এটি বাস্তবায়ন বেশ কঠিন কাজ। কারণ ক্ষতিগ্রস্থদের আবেদন পেতে হবে। এরপর আবেদন যাচাইবাচাই করে সঠিক গ্রাহক খুঁজে বের করা।
আবদুল হালিম চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমানে ব্যাংকের বোর্ড মিটিং করা অনেক কঠিন। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাসায় বসে ভার্চুয়াল মিটিং করার পরামার্শ দিয়েছে। সেটি কতটুকু সফলভাবে করতে পারবো এবং ব্যাংকের কল্যাণে সিদ্ধান্ত নিতে পারবো সেটি এখন দেখার বিষয়।’
(ঢাকাটাইমস/২৭এপ্রিল/ডিএম)

মন্তব্য করুন