জেলের জালে ৫০০ কেজি ওজনের ‘শাপলা পাতা’ মাছ!

চাঁদপুর প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ০৩ মে ২০২০, ১৬:৩০ | প্রকাশিত : ০৩ মে ২০২০, ১৬:২৪

চাঁদপুরের মেঘনা নদীতে জেলেদের জালে প্রায় ৫০০ কেজি ওজনের একটি মাছ ধরা পড়েছে। স্থানীয়দের ভাষায় এটি হাউস মাছ নামে পরিচিত। শঙ্কর মাছ বলেও অনেকে চেনেন। মাছটির ইংরেজি নাম স্টিংরে ফিস এবং বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা (শাপলা পাতা)। মাছটি দৈর্ঘ্য ও প্রস্থে সাড়ে ১৫ ফুট। লেজের দৈর্ঘ্য প্রায় সাত ফুট বলে জেলেরা জানিয়েছেন।

শনিবার গভীর রাতে মাছটি জেলেদের জালে ধরা পড়লেও দুপুরে চাঁদপুর বড়স্টেশন মাছঘাটে বিক্রির জন্য আড়তে তোলা হয়। বিশাল আকৃতির এই মাছের স্থানীয়ভাবে এবং বিভিন্ন স্থানে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এটি মানবদেহের জন্য মহৌষদের মতো কাজ করে বলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক, কয়েকজন হেকিম, চাঁদপুরে প্রবীণ ব্যবসায়ী ও কয়েকজন প্রবীণ শিক্ষক জানান। তারা বলেন, এ মাছ খাওয়া হলে পেটের কঠিন পিড়া, আমাশয়ের কাজ ও পাইলস্ রোগ প্রতিরোধে বেশ কার্যকরি। মাছটি চাঁদপুরের আড়তে করোনার কারণে দাম কম হাকা হলেও ৬০ হাজার টাকা দাম উঠে। ক্রেতা কমপক্ষে এক লাখ টাকায় এই মাছ অন্য জায়গায় নিয়ে বিক্রি করবেন বলে জানান।

শহরের বড়স্টেশন মাদ্রাসারোড এলাকার জেলে আবুল বাশারের জালে মাছটি ধরা পড়ে। তিনি জানান, পদ্মা-মেঘনা নদীর রাজরাজেশ্বর লক্ষ্মীরচরে শনিবার গভীর রাতে জালে মাছটি আটকা পড়ে। পরে তারা আটজন জেলে মিলে আটকা পড়া মাছটি টেনে নদীর পাড়ে নিয়ে আসেন। সেখান থেকেই পরবর্তীতে ট্রলারযোগে মাছটি ঘাটে আনেন বিক্রি করতে।

তিনি বলেন, বিশাল আকৃতির এই মাছটি ৬০ হাজার টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। চাঁদপুর লকডাউন না হলে এই মাছটি আরো অনেক বেশি দামে বিক্রি করা যেত।

মাছটি চাঁদপুর মাছঘাটে তোলা হলে শত শত উৎসুক মানুষ দেখার জন্য সেখানে ভিড় করে।

আড়তদার কালাম গাজী বলেন, এ মাছগুলো বিরল প্রজাতির। এরা সাধারণত নদী ও সাগরের মিলনস্থলে থাকে। বড় বড় নদীতেও কয়েক প্রজাতির এমন মাছ রয়েছে।

তিনি বলেন, এই মাছটির বয়স আনুমানিক ছয়-সাত বছর। আমরা এটি ১৩০ টাকা করে প্রতি কেজি বিক্রি করতে চেয়েছিলাম। তবে হাক-ডাকের আগেই একজন এসে এটি ৬০ হাজার টাকায় কিনে নিয়েছেন। এটি পাইকাররা ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা বা তার বেশি দামে কেজি প্রতি কেটে বিক্রি করবে।

জেলেদের কাছ থেকে মাছটি কিনেছেন ঘাটের মুনছুর আহমেদ বন্দুকশি নামে এক মাছ ব্যবসায়ী। তিনি বলেন, লক ডাউন না হলে মাছটির দাম আরো বেশি পড়তো। তবে যাই হোক নগদ ৬০ হাজার টাকা দামে মাছটি কিনেছি। এখন এটি নারায়ণগঞ্জের আড়তদারের কাছে পাঠিয়ে দিলাম। তিনি সেখানে আশা করি এক লাখ টাকায় বিক্রি করতে পারবেন। সেখানে এ মাছের চাহিদা অনেক।

এ ব্যপারে চাঁদপুর সদর উপজেলার সহকারী মৎস কর্মকর্তা মাহবুব রশীদ বলেন, মাছটির ইংরেজি নাম স্টিংরে ফিস এবং বৈজ্ঞানিক নাম হিমানটুরাইমব্রিকাটা। এ মাছগুলো নদী ও সাগরের সঙ্গমস্থলে থাকে। তবে এ দেশের বড় নদীগুলোতেও এদের ১২ থেকে ১৩টি প্রজাতি রয়েছে। স্থানীয়ভাবে একে শাপলা পাতা, শাকুশ, হাউস পাতা মাছও বলা হয়ে থাকে।

(ঢাকাটাইমস/৩মে/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :