স্যারের সবচেয়ে ভালো লাগত নম্রতা

২০০৪ সালের ঘটনা। মাত্র ঢাকায় এসেছি। প্রথম আলোর আলপিনে কার্টুন আঁকি। গণিত অলিম্পিয়াডে একটা কার্টুন আঁকলাম ড. জাফর ইকবাল স্যারের আইডিয়া নিয়ে। বাংলা ভাইকে নিয়ে। (কার্টুনটা ৮ফিট বাই ৪ ফিটের ছিলো। এতবড় কাজে সারারাত সহযোগিতা করেছিলো বন্ধু খা্য়রুল বাবুই।) নটরডেম কলেজে সেই কার্টুন দেখে প্রথম আলো সম্পাদক মতি ভাই দেখা করতে বলেছেন।
পরদিন মতি ভাইয়ের রুমে গেলে তিনি আমার পড়াশোনার বিষয়টা জানতে চাইলেন। বললেন-তুমি চারুকলায় পড়। আমি কাইয়ূম ভাইকে (কাইয়ূম চৌধুরী) বলে দেখি? আমি বললাম- আমারতো দুই বছরের বেশি গ্যাপ হয়ে গেছে এইচএসসি পাশের। তখন বললেন তাহলে কি করবা? আমি ইউডার কথা বলি।
জানতে চাইলেন ইউইডার ভিসি কে? এমাজউদ্দীন আহমেদ স্যারের কথা বলার সাথে সাথে বললেন- আরে এমাজউদ্দীন ভাইরে বললেই একটা ব্যবস্থা করে দেবে। প্রথম আলোর লেটারহ্যাডে লিখে দিচ্ছি তুমি দেখা করে আমার কথা বলবা। মতি ভাইয়ের সৌজন্যে এমাজউদ্দীন স্যার আমাকে বৃত্তির ব্যবস্থা করে দেন। আমি বিএফএ করি।
প্রথম আলোর এডিটোরিয়াল পোস্টের জন্য অনেকবার স্যারের কাছে গিয়েছি। স্যার বলতেন আর আমি লিখতাম। লেখা শেষ হলে বলতেন- পড়ে শোনাও। কোথাও ঠিক করতে হলে বলে দিতেন। স্যারের সবচেয়ে ভালো লাগত- নম্রতা। নিচুস্বরে এবং সুন্দরভাবে কথা বলা মুগ্ধ করত।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠেই প্রথম নিজউটা চোখে পড়ল আপনাকে নিয়ে! আপনি নেই! আমার জীবন সংগ্রামে যাদের প্রত্যক্ষ সহযোগিতা আজীবন মনে রাখার মতো আপনি সেই কাতারের একজন.....ভালো থাকবেন স্যার...
লেখক: চিত্র সম্পাদক
ঢাকাটাইমস/১৭জুলাই/এসকেএস

মন্তব্য করুন