ভালুকায় সাতসকালে সড়কে প্রাণ গেল ছয়জনের

ময়মনসিংহের ভালুকায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে বাস ও প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে একই পরিবারের চারজনসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার সকালে সাড়ে ৮টার দিকে ভালুকা সরকারি কলেজের সামনে। ঘটনাস্থলেই চালকসহ প্রাইভেটকারে সবাই মারা যান। আহত হন বাসের ১৫ যাত্রী।
পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস জানায়, গাজীপুরের হোতাপাড়া থেকে মনির হোসেন প্রাইভেটকারে করে ত্রিশালের বাবার বাড়িতে যাচ্ছিলেন। সঙ্গে ছিলেন হাসিনা বেগম, তার বোন নাজমা খাতুন, ছেলে হাসিবুল, শাশুড়ি জান্নাতি বেগম ও প্রতিবেশী বিল্লাল। পথে ভালুকা উপজেলা সদরে প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন নেয়ার সময় ঢাকাগামী ইমাম পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই চালকসহ প্রাইভেটকারের সবাই মারা যান। আহত হন বাসের ১৫ যাত্রী।
নিহত প্রাইভেটকারের যাত্রীরা হলেন গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর থানার রদ্দৌপুর গ্রামের আ. করিমের স্ত্রী হাসিনা আক্তার (৩০), হাছিনার শিশু ছেলে হাছিবুল (৪), মৃত আ. মান্নানের স্ত্রী জান্নাতী বেগম (৬০), হযরত আলীর মেয়ে নাজমা বেগম (২৬), ত্রিশাল উপজেলার ধরিরামপুরের আ. সালামের ছেলে বিল্লাল হোসেন (৪৯) ও ড্রাইভার মোহাম্মদ আলীর ছেলে মনির হোসেন (৩০)।
দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের উদ্ধারকর্মী ও পুলিশ প্রাইভেটকারটির বিভিন্ন অংশ কেটে একঘণ্টা চেষ্টা করে নিহতদের লাশ উদ্ধার করেন। উদ্ধার কাজ চলাকালে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের এক পাশে প্রায় দুই ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল।
প্রত্যক্ষদর্শী আসিফ আলী শেখ জানান, ইমাম পরিবহনের বাসটি অনেক দ্রুত গতিতে আসছিল, প্রাইভেটকারটি ইউটার্ন নেয়ার সময় বাসের সামনে দিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই ছয়জন নিহত হন।
ভালুকা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা টাইমসকে বলেন, ‘দুর্ঘটনার খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে প্রাইভেটকারের ছয় যাত্রীকে মৃত অবস্থায় উদ্ধার করে হাইওয়ে পুলিশের কাছে লাশ হস্তান্তর করি। আহত ১৫ জনকে ভালুকা সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
ভালুকা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ জহির উদ্দিন মোহাম্মদ তৈমুর আলী ঢাকা টাইমসকে জানান, ঘাতক বাসটি জব্দ করে ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে।
ভালুকা মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন ঢাকা টাইমসকে জানান, বাসের চালক পলাতক। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন।
(ঢাকাটাইমস/২২আগস্ট/এমআর/জেবি)

মন্তব্য করুন